মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে ৫ দফা দাবিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মানববন্ধন
রাশেদ খান || বিএমএফ টেলিভিশন
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন ও জানুয়ারি ২০২৫ হতে বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানসহ ৫ দফা দাবিতে মেহেরপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) প্রকল্পের শিক্ষক, কেয়ারটেকার, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের আয়োজনে এই এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার নিকট পাচ দফা দাবী সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান করেন। মানববন্ধনে মেহেরপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাও. আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক হযরত মাও. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার ওবায়দুর রহমান, সুপারভাইজার আমানুল্লাহ, মাস্টার ট্রেইনার মাও. আঃ হামিদ। ফিল্ড সুপারভাইজার মুহাম্মদ তাওহীদুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কাজীপুর ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাও. মাজহারুল ইসলাম, বামন্দী ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাফেজ মাও. সিরাজুল ইসলাম, শ্যামপুর ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাও. আওলাদ হোসেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির মাও. শাহজাহান কবীর সজল, মুজিবনগর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাও. সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাও. হাসানুজ্জামান। আমঝুপি ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাও. ওমর ফারুক। গাংনী উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাও. আব্দুল হক ও পৌর শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী ওবায়দুর রহমান সহ জেলা ও উপজেলা মসজিদভিত্তিক শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের শিক্ষক-কর্মচারী ও কর্মকর্তারা পাঁচ মাস ধরে বেতন-ভাতা পান না। বিভিন্ন সময়ে দাবি করেও বেতন-ভাতা মেলেনি। খেয়ে-না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন স্বল্প বেতনভুক্ত এসব শিক্ষক ও কর্মচারী-কর্মকর্তা। বক্তারা আরও বলেন, দেশে অন্যান্য ধর্মের মানুষ যারা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তাদের বেতন বন্ধ হয়না অথচ ৯৫ ভাগ মুসলিমের দেশে এই সকল ধর্মীয় শিক্ষকদের বেতন হয়না। করোনার সময় সন্তান মায়ের কাছে যায়নি, মা সন্তানের কাছে যায়নি সেই সময় এই ইমামদের ডেকে এনে জানাজা পড়ানো হয়েছে। এই দাবি ও বেতন-ভাতা যদি না দেওয়া হয় তাহলে মসজিদের ইমামতি থেকে শুরু করে জানাজা না পড়ানোর হুশিয়ারি দেন তারা। ঈদুল আযহার আগে তাদের সকল বকেয়া পরিষদ পরিশোধ করতে হবে এবং অষ্টম পর্যায়ের প্রকল্প অনুমোদন না দিলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন মানববন্ধনকারীরা।