আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে এনসিপির সেই নেতাকে বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪২, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দলের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক একটি আন্দোলন বন্ধ করার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দলের যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক একটি আন্দোলন বন্ধ করার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া দেড় মিনিটের ভিডিওটিতে নিজাম উদ্দিনকে আফতাব হোসেন রিফাত নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে নিজামকে আফতাবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি আন্দোলন বন্ধ করার জন্য কোনো টাকা পেয়েছেন কিনা। আফতাব তখন ৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এরপর নিজাম তাকে আরও বেশি টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিতে বলেন। তিনি এমনকি আফতাবকে আরও পাঁচ লাখ টাকা আদায় করে সেই টাকা থেকে কিছু অংশ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার পরামর্শ দেন।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর এনসিপি, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি নিজাম উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। নোটিশে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে দলের সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন বলেন, ভিডিওটি সাত-আট মাস আগের। যিনি ভিডিও করেছেন, তিনিই এ বিষয়ে পরিষ্কার বক্তব্য দেবেন।

অন্যদিকে, ভিডিওতে থাকা আফতাব হোসেন রিফাত দাবি করেন, ৩০শে মে তারিখে তাকে মারধর করে এবং জোর করে এই ভিডিওটি করানো হয়েছে। তিনি জানান, নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তারা প্রায়ই এমন দুষ্টুমি করেন এবং নিজামও মজা করেই চাঁদার কথাগুলো বলেছিলেন। আফতাব আরও বলেন, এই ভিডিওটি বন্দরকেন্দ্রিক ইস্যু নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ভিডিওটি ঠিক কোন আন্দোলনের বিষয়ে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়