খুলনা-মোংলা মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ, চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

আবু-হানিফ,(বাগেরহাট) প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ রাত ০৯:৫১, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

আবু-হানিফ,(বাগেরহাট) প্রতিনিধি || খুলনা-মংলা মহাসড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করা এবং নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের সংস্কার করায় এ জাতীয় মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতি বলছেন সচেতনমহল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। মংলা বন্দর হতে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়ক এটি। এর বিকল্প না থাকায় বিভিন্ন যানবাহন বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
 

খুলনা-মংলা মহাসড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করা এবং নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের সংস্কার করায় এ জাতীয় মহাসড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতি বলছেন সচেতনমহল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। মংলা বন্দর হতে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়ক এটি। এর বিকল্প না থাকায় বিভিন্ন যানবাহন বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।


জানা গেছে, প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে খুলনা-মংলা মহাসড়কের এ করুন পরিস্থিতির শিকার হয় সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা। আর প্রতিবছরে নাম-মাত্র সংস্কার করা হয় এ মহাসড়ক। কিছুদিন আগেও মহাসড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। অল্পদিনের ব্যবধানে আবারো সড়কটির একই দশা। এমন সংস্কারে সড়কটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। খানাখন্দে ভরা এ সড়কে যানবাহন চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ভুক্তভোগীরা। আর রাতের বেলায় এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা আরো কষ্টকর। মহাসড়কের কোথাও নেই কোন ল্যাম্প পোস্ট, নেই আলো। অন্ধকারে ভ্যান, সাইকেল মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের দ্বিতীয় মোংলা সমুদ্র বন্দর। এ বন্দরে আমদানী-রপ্তানী পণ্যসহ স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা উৎপাদনমুখী ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য স্থল পথে পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মোংলা-খুলনা মহাসড়ক। মহাসড়কটির সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৫ কিলোমিটার এবং ৫ কিলোমিটার মোংলা বন্দরের আওতায়। মহাসড়ক জুড়েই খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় নানা দুর্ভোগে পড়ছে হাজার হাজার পণ্যবাহীযনসহ সকল প্রকার যানবাহন ও পথচারীরা।

 এছাড়াও খুলনা-মোংলা মহাসড়কের কুদির গাছতলা মোড়, লকপুর এলাকার কিছু অংশ, কাটাখালি মোড়, শ্যামবাগাত, চুলকাঠি এলাকার কিছু মোড় ফয়লা বিমানবন্দরের সামনে, ভাগা, ঝনঝনিয়া, জিরোপয়েন্টের দুই পার্শ্বের মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ রয়েছে। এ সড়কে চলাচলকারী গাড়ী চালক রিপন, হানিফ, আল-আমিন জানান, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়। ভারি যানবাহন চলাচল করায় সড়কের সংস্কার কাজ বেশিদিন টেকে না।

 এতে নানা ভোগান্তির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গাড়ির চাকা ও যন্ত্রাংশ। এই মহাসড়ক দিয়ে সাইকেলযোগে প্রতিদিন খুলনায় যাওয়া হাসান আলী জানান, নিয়মিত গতানুগতিক মেরামত কাজ চললেও ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে ফের ভেঙ্গে যায়, এতে প্রায় আমরা মটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হই। ভাঙ্গা গর্তের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে গেলে পেছন থেকে আসা ভারী যানবাহনের দ্বারা জীবননাশের মত দুর্ঘটনার সম্ভবনাও থেকে যায়।


পথচারীরা জানান, সড়কটি ব্যবহারে আমাদের যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি অর্থও। তাই কর্তৃপক্ষককে অনুরোধ করবো দ্রুত এ সড়কটি যেন মেরামত করা হয়। বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমের কারণে টানা এক মাস বৃষ্টিতে বটতলা থেকে দিগরাজ পর্যন্ত মহাসড়কে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। ইতিমধ্যে বাগেরহাট সড়ক বিভাগের একটি ট্রাক দিয়ে মহাসড়কের কাজ চলছে, কিছু কাজ শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন। তিনি আরও বলেন, দিগরাজ থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত সড়কের দেখভালের দায়িত্ব মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়