স্বামীকে ফিরে পেতে শশুর বাড়িতে স্ত্রীর অনশন
আজিজুল ইসলাম,ইবি প্রতিনিদি। || বিএমএফ টেলিভিশন
কুষ্টিয়া উপজেলা মোড়ের কেরামত আলির মেয়ে মোছাঃ লুবাবা নদার স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন দূর্বাচারা গ্রামের মনিরুজ্জামান (শিহাব), পিতা মো:রেজাউল করিম মোল্লার বাড়িতে শনিবার অনশন করেন।
লুবাবার দাবি দেড় বছর আগে ২০২৩ সালের শেষের দিকে বিবাহ হলেও শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাননি কখনো।পারিবারিক ভাবে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিলো তাদের।বিয়ের মাত্র ৭ দিন পরে তার শাশুড়ী লুবাবাকে মায়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এইদিকে লুবাবার সাথে কথা বললে তিনি জানান দিনের পর দিন অতিবাহিত হলেও কোন সময় স্ত্রীর কোন মর্যাদা দেননি শিহাব ও তার পরিবার। আমাকে বিয়ের সাত পরে মায়ের বাড়িতে রেখে আসছে, আর কখনো আনতে যায় নাই।এর আগেও আমি চার বার শিহাবের বাড়িতে আসার চেষ্টা করলে আমার শ্বশুর ও শাশুড়ী আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।আমাকে মেরেছে, মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।আমাকে বলেছে তার ছেলে শিহাবকে ডিভোর্স দিতে।আমি দেড় বছর এই কষ্ট নিয়ে বেচে আছি।এর মাঝে শিহাবের পরিবার শিহাবকে গোপনে অন্য যায়গা বিয়ে দিয়ে দেয়।বিষয়টি আমি জানতে পেরে শনিবার সকালে আবারো দূর্বাচারা গ্রামে শিহাবের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে অনশন করি।
পৃথীবিতে কে চাই তার স্বামীর সংসার ভেঙ্গে যাক।হাতে লাল মেহেদী আর বেনারশি শাড়ি পরে কবুল বলেছিলো লুবাবা।অনেক স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন তার স্বামীর বাড়িতে।কিন্তু দজ্জাল শাশুড়ি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।কি কারণে লুবাবার সাথে শিহাব ও তার পরিবার এমন করছে এই বিষয়ে কেউ কথা বলে নি।
এক পর্যায়ে শিহাবের মা সহ পরিবারের সবাই লুবাবার উপর মানষিক অত্যাচার চালনোর কারনে সেখানে লুবাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে, সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। লুবাবার দাবি তার স্বামীর সাথেই থাকবেন তিনি।বিয়ে করেছেন তার স্বামীর সাথে সংসার করবেন।