কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কাউন্সিল
ভোট কারচুপির অভিযোগ, ব্যালট পেপার মিললো পরিত্যক্ত টয়লেটে
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
কুষ্টিয়ার পৌর বিএনপির নির্বাচন কারচুপির অভিযোগ তুলে প্রত্যাখ্যান করেছেন সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী কাজল মাজমাদার। তিনি বলেন, এই অনিয়ম ও ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি।
এদিকে এ বিষয়ে রোববার বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া এন এস রোডে একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সেখানে খবর পৌঁছায়, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের টয়লেটে বেশ কিছু ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুপুর থেকেই দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানান জল্পনা কল্পনা।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, নির্বাচন ঘিরে জনমনে নানা সংশয় থাকলেও আমরা দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং গণতন্ত্রের অনুশীলনের জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে বারবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আশঙ্কাকে সত্যি করে নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে এবং নানামুখী বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে নির্বাচন পাতানোর জন্য দায়ী করে প্রভাবশালী এই নেতা বলেন, তাদের থেকে আমরা দূরে ছিলাম। কিন্তু তারা সুষ্ঠু ভোটের কথা বলে ডেকে এনে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল একটি সুষ্ঠু ভোটের সেই ওয়াদা তারা রক্ষা করেননি।
এর আগে শুক্রবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপি'র দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল শেষে ভোটে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিন বিজয়ী হন। পরে কাজল মাজমাদার ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনর্গণনার আহ্বান জানান। পরদিন শনিবার পুনর্গণনা শেষে চার ভোট বেড়ে কাজলের ভোটের সংখ্যা হয় ৫৯৯। অন্যদিকে জয়ী প্রার্থী বাবুর ভোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াই ৬১২।
এ তথ্য জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাজল বলেন, চার ভোট বেড়ে যাওয়ায় প্রমাণ হয়, ভোটে কারচুপি হয়েছে। তাছাড়া এইমাত্র আমরা খবর পেলাম, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের টয়লেটে প্রায় শতাধিক সিলযুক্ত ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
সার্বিক অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ভোটের সারাদিন কারো কোন অভিযোগ ছিল না। ভোট গণনার সময় কোন অভিযোগ ছিল না। কিন্তু ফলাফলের পরই তাদের যত অভিযোগ। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে শতভাগ স্বচ্ছ একটি নির্বাচন করেছি। এখানে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।