বিশ্বমঞ্চে টেকনাফের সন্তান মোঃ আব্দুল্লাহ জাপানে আন্তর্জাতিক ক্যান্সার সিম্পোজিয়ামে নির্বাচিত হয়েছেন
আলমগীর আকাশ, টেকনাফ (কক্সবাজার) || বিএমএফ টেলিভিশন
টেকনাফের তরুণ সমাজকর্মী ও মানবিক সংগঠন Young Strength in Social Organisations(YSSO)-এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আব্দুল্লাহ জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত "১২তম GCB বায়োমেডিকেল সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সিম্পোজিয়াম ২০২৫"-এ অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। "এক্সেলেন্স অ্যান্ড এক্সটেনশন অফ রেডিওথেরাপি" থিমে গঠিত এই সিম্পোজিয়াম ২০২৫ সালের ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং হাইব্রিড ফরম্যাটে সম্পন্ন হবে।
বর্তমানে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ, প্রফেসর মোখলেছুর রহমানের তত্ত্বাবধানে একই ডিপার্টমেন্টের অন্য স্টুডেন্ট রাকিব হোসেনের সঙ্গে এই গ্রীষ্মকালীন প্রোগ্রামে নির্বাচিত হন। হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২৬শে জুন, ২০২৫ তারিখে তাদের কাছে অফিসিয়াল আমন্ত্রণপত্র ও প্রয়োজনীয় নথি প্রেরণ করেছে।
আব্দুল্লাহ জানান, "এটি আমার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং আমার বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমি এই অর্জিত জ্ঞানটি YSSO-এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে গবেষণা ও মানবিক কাজে ব্যবহার করতে চাই, ইনশাআল্লাহ।" এই সিম্পোজিয়ামে তিনি ক্যান্সার চিকিৎসার অত্যাধুনিক পদ্ধতি যেমন রেডিওথেরাপি, ইমিউনো পিইটি ইন অনকোলজি, থেরাগনস্টিক রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস এবং কার্ডিয়াক অ্যাবলেশনের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। এর সাথে আধুনিক যন্ত্রপাতি যেমন PET স্ক্যানার, লিনিয়ার অ্যাক্সিলারেটর, গামা ক্যামেরা এবং MRI মেশিনের ব্যবহারও শিখতে পারবেন, যা ভবিষ্যতে দেশে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানে সহায়ক হবে।
সিম্পোজিয়ামের ফেলোশিপ জাপানে থাকা-খাওয়ার খরচ কভার করলেও বিমান টিকিটের খরচ অংশগ্রহণকারীদের নিজেদের বহন করতে হবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহ আমাকে এই সুযোগ দিয়েছেন, তিনি নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন—তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ।"
আবদুল্লহ কক্সবাজার জেলা, টেকনাফ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কায়ুকখালী পাড়ার বাসিন্দা।
তার এই সাফল্যের জন্য মা-বাবা, আত্মীয় স্বজনরা সহ টেকনাফবাসী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা বন্ধু বান্ধবরা অনেক আনন্দিত।
টেকনাফের সীমান্ত অঞ্চল থেকে উত্থানশীল এই যুবকের সাফল্য শিক্ষা, গবেষণা ও মানবিক উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এটি দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী অবদানের পথও প্রশস্ত করবে।