মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মেহেরপুর প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১৬, সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

মেহেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড


মেহেরপুরে হত্যা মামলায় আসামী সেন্টু ( ৪০)কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। সোমবার (৩০ জুন) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাসিম রেজা এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সাইদুর রাজ্জাক।
রায়ের আদেশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার আকুবপুরে মেয়ে সাগরিকা খাতুন আত্মহত্যা করেছে বলে মেহেরপুর গাংনী থানায় খবর দেন বাবা কুতুব উদ্দিন। মরদেহ জামাই সেন্টুর বাড়িতে রয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাংনী থানার এসআই শহিদুল ইসলাম মরদেহের সুরতহাল করে। মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য মরদেহ মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়। মেয়ের বাবা ও কোন আত্মীয় স্বজন এজহার না করায় এস আই শহিদুল ইসলাম নিজেই বাদী হয়ে গাংনী থানায় ১৯ জুন ২০১৬ সালে অপমৃত্যু মামলার অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর নিয়মিত মামলা করে তৎকলীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আবু বক্করের উপর তদন্তের দ্বায়িত্বভার দেন। আবু বকর ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও ছয় জন সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে ২০১৭ সালের ২২ জুন বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। একই বছরের ২ আগস্ট বিজ্ঞ আদালত পেনাল কোড ৩০২/২০১ ধারায় চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারকার্য শুরু করেন। মরদেহের সুরতহাল, ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে প্রমাণিত হয় স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (২৫ )কে হত্যা করে স্বামী সেন্টু। ২০১৬ সালে ৬  জুন উক্ত হত্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালিয়েছে সে। মামলায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই দন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। এ সময় আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়