কুষ্টিয়া ঘুমন্ত ভ্যানচালককে হত্যা, লাশ দাফনের আগেই ঘাতক গ্রেফতার
আজিজুল ইসলামঃ || বিএমএফ টেলিভিশন
কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জোয়ার্দারের বিচক্ষণ তৎপরতা ও দ্রুত অভিযানে চাঞ্চল্যকর এক খুনের মামলার আসামি মামলা রুজু হওয়ার আগেই গ্রেফতার হয়েছে। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে ছোট বোন জামাই নিজেই কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন শ্যালককে।
কুষ্টিয়ার মিরপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহমুদুল হক জোয়ার্দারের বিচক্ষণ তৎপরতা ও দ্রুত অভিযানে চাঞ্চল্যকর এক খুনের মামলার আসামি মামলা রুজু হওয়ার আগেই গ্রেফতার হয়েছে। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে ছোট বোন জামাই নিজেই কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন শ্যালককে।
গত ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, আনুমানিক ভোর ৪:৪৫ ঘটিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শান্তিডাঙ্গা গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত মোশাররফ হোসেন মুছা শেখ (৫২) পেশায় একজন ভ্যানচালক, নিজ শয়ন কক্ষের বারান্দায় ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো ও ভারি দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নিহত মুছা শেখ ওই গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোশাররফকে হত্যা করেছে তার আপন ছোট বোন জামাই উপজেলা সদরের শিবপুর গ্রামের মৃত হাজির আলী শেখের ছেলে
মোঃ রিপন আলী শেখ (৪২)। হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মিরপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হক জোয়ার্দার। তার নির্দেশনায় ইবি থানা পুলিশ ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের গ্রেফতারে ব্যাপক অভিযান শুরু করে।উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযানের একপর্যায়ে ভিকটিমের আপন বোন জামাই মোঃ রিপন আলী শেখকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। কুষ্টিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হক জোয়ার্দারের রিপনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে রিপন সরাসরি এই খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। রিপন জানায়, সে নিজেই ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে শ্যালককে হত্যা করেছে।
পরে তার স্বীকারোক্তি এবং দেখানো স্থান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা ও তার পরিহিত রক্তমাখা পোশাক আলামত হিসেবে জব্দ করে ইবি থানা পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে রিপনের স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। গত সাত-আট মাস ধরে রিপন তার স্ত্রীর এই অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য শ্যালক মোশাররফ হোসেন মুছাকে দোষারোপ করে আসছিলেন। এই বিষয়টি নিয়েই দু'জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য ও গোপন দ্বন্দ্ব চলছিল। তারই জের ধরে রিপন ক্ষোভের বশে মোশাররফ হোসেন মুছাকে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
এ ঘটনায় নিহত মোশারফ হোসেন মুছার স্ত্রী ছখিনা খাতুন বাদী হয়ে ইবি থানায় একটি খুনের মামলা (মামলা রুজু হওয়ার আগেই ঘাতক গ্রেফতারের পর) দায়ের করেছেন। ঘাতক মুসাকে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত ইবি থানা পুলিশ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেছে।