বিমানবন্দরে আগুনে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে: ইএবি

ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২২, সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের বিপরীতে বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমার বাইরে করা পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশেষ তহবিল গঠন করে ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরান বাজারে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। সংবাদ সম্মেলনে তৈরি পোশাক, বস্ত্রকল, ওষুধ, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা গভীর উদ্বিগ্ন। এই ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুতর দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে যে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর নয়। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে রপ্তানিকারকরা কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তাহীনতা, গুদামের অগোছালো ব্যবস্থা এবং মালামাল চুরির অভিযোগ জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

সংবাদ সম্মেলনে ইএবি জানিয়েছে, ওষুধ, তৈরি পোশাক, কৃষিপণ্য, ফলমূল, হিমায়িত খাদ্য ও অন্যান্য রপ্তানিকারক খাত এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে পারেন, যা ভবিষ্যতে রপ্তানি চুক্তি এবং অর্ডারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ইএবি সভাপতি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগুনের ঘটনার গুরুত্ব সঠিকভাবে বিবেচনা করে দ্রুত তদন্ত শেষ করা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন প্রতিরোধ করা যায়।

এ সময় ব্যবসায়ীরা কার্গো ভিলেজের আধুনিকায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীততাপনিয়ন্ত্রিত গুদাম স্থাপন, রাসায়নিক গুদাম নিরাপদ দূরত্বে নির্মাণ এবং সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর গুদাম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ, গত শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় হঠাৎ আগুন লাগে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়