শান্তিগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও গণঅধিকার পরিষদের নেতা
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি:: || বিএমএফ টেলিভিশন
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের এক নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রবাসীর পিতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের এক নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রবাসীর পিতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াখালী গ্রামের গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইয়াসিন আহমেদ (৩৫) পাথারিয়া ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের প্রবাসী হেলাল আহমেদের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
বাদী নুর আলী মিয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে তার ছেলে হেলাল আহমেদের সঙ্গে সুমাইয়া আক্তারের কাবিন ও আকদ অনুষ্ঠিত হয়। বিয়েতে ৩ লাখ টাকা মহর ধার্য হয় এবং ছেলের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকার সোনার আংটি ও ৮০ হাজার টাকার পোশাক-পরিচ্ছদ উপহার দেওয়া হয়।
বিয়ের কয়েকদিন পর সুমাইয়া আক্তার তার বোন সুমি আক্তারের সঙ্গে সিলেটে যান। সেখান থেকে ইয়াসিন আহমেদ তাকে প্রলুব্ধ করে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন। পরে প্রবাসে থাকা স্বামী হেলাল আহমেদ যোগাযোগের চেষ্টা করলে ইয়াসিন নিজেই ফোন রিসিভ করে সুমাইয়াকে তার স্ত্রী বলে দাবি করেন এবং হেলালকে ভবিষ্যতে যোগাযোগ না করার জন্য সতর্ক করেন।
বাদী নুর মিয়া আরও জানান, ৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে সুমাইয়া সিলেট থেকে পালিয়ে গিয়ে ইয়াসিন আহমেদের সঙ্গে বিয়ে করেন। এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে হেলাল আহমেদের ফোনে পাঠানো হয়। বিষয়টি জানার পর সুমাইয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
নুর মিয়া অভিযোগ করেন, এই বিয়ের মাধ্যমে তার পরিবারকে প্রতারণা করে প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইয়াসিন ও সুমাইয়া। বর্তমানে তারা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্তের পিতা বলেন, “আমার ছেলে যদি অন্যায় করে থাকে, তবে তার বিচার হওয়া উচিত।”
অভিযোগের বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন আহমেদ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”