বন্ধুকে সুরি আঘাতের আগে হোটেলে খাইয়েছেন।
ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন
বন্ধুর ওপর নৃশংসতা দেখানোর আগে তাকে নিয়ে খাইয়েছেন। এরপর একই মোটরসাইকেলে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্জন স্থাবন্ধুকে সুরি আঘাতের আগে হোটেলে খাইয়েছেন।
বন্ধুর ওপর নৃশংসতা দেখানোর আগে তাকে নিয়ে খাইয়েছেন। এরপর একই মোটরসাইকেলে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নির্জন স্থানে।
সেখানে পৌঁছানোমাত্রই সাইকেলের মাঝে বসা বন্ধুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেছেন পেছনে বসে থাকা বন্ধুটি।
এমন হৃদয়স্পর্শী ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর জেলায় বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে।
আহত আলবাব খান মেহেরপুর শহরের শেখপাড়ার আলিফ খানের ছেলে। তার অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আলবাব খানকে যারা ছুরিকাঘাত করেছেন তারা হলেন তারই বন্ধু মেহেরপুর শহরের ক্যাশব পাড়ার রাজুর ছেলে সাদিক ও মুখার্জিপাড়ার রাতুল।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, তারা একে অপরের বন্ধু। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অভিযানে সাদিক ও রাজুসহ কয়েকজন আটক হন। তাদের ধারণা, আলবাব খান সেনাবাহিনীর স্থানীয় ক্যাম্পে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছিলেন। এ কারণে আলবাবকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নেন তারা।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, আলবাবকে ছুরিকাঘাত করার আগে সবাই খাওয়া-দাওয়া করেন। এরপর তাকে একটি মোটরসাইকেলে চড়িয়ে ঘুরতে বের হন তারা। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন রাতুল। আলবাব ছিলেন মাঝে, পেছনে সাদিক।
মোটরসাইকেলটি গোভিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে নির্জন স্থানে পৌঁছানোমাত্রই পেছনে বসা সাদিক উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন আলবাব খানকে। এতে তার হাত, পেট, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যান সাদিক ও রাতুল।
আলবাবের ক্ষতবিক্ষত শরীরে শতাধিক সেলাই পড়েছে বলে চিকিৎসক জানান।