পাক সেনাবাহিনীতে যুক্ত হলো চীনের অত্যাধুনিক ‘অ্যাটাক হেলিকপ্টার’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৪২, শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের ‘সমন্বিত যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিক্রিয়া’ শক্তিশালী করতে চীনের তৈরি জেড-১০এমই (Z-10ME) অ্যাটাক হেলিকপ্টার বহরে যুক্ত করেছে। ‍আজ শনিবার (২ আগস্ট) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বরাতে এ খবর জানিয়েছে ডন।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাদের ‘সমন্বিত যুদ্ধক্ষেত্র প্রতিক্রিয়া’ শক্তিশালী করতে চীনের তৈরি জেড-১০এমই (Z-10ME) অ্যাটাক হেলিকপ্টার বহরে যুক্ত করেছে। ‍আজ শনিবার (২ আগস্ট) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বরাতে এ খবর জানিয়েছে ডন।

চীনের অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ সিঙ্গাপুর এয়ারশো-তে প্রথমবারের মতো নিজ দেশের বাইরে জেড-১০ হেলিকপ্টার প্রদর্শন করে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, তখন পর্যন্ত পাকিস্তানই ছিল মডেলটির একমাত্র পরিচিত রপ্তানিকারক গন্তব্য, যদিও এয়ারশোতে কোনো বিক্রির ঘোষণা আসেনি।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির নতুন এসব হেলিকপ্টারের সংযোজন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন এবং পরবর্তীতে মুজাফফরগড় ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে একটি অগ্নিশক্তি প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেন। তবে কতগুলো হেলিকপ্টার পাকিস্তান কিনেছে, সে তথ্য জানানো হয়নি।

সংস্থাটি জানায়, ‘এই শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মের সংযোজন সেনাবাহিনীর এভিয়েশন বিভাগে আধুনিকায়নের একটি বড় অগ্রগতি, যা যুদ্ধক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং সম্ভাব্য শত্রুর বিরুদ্ধে নির্ধারক প্রভাব তৈরি করতে সক্ষম।’

এর আগে ২০২১ সালে ডিফেন্স নিউজ জানায়, চীন তিনটি জেড-১০ হেলিকপ্টার ট্রায়ালের জন্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল, তবে তখন সেগুলো পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয় এবং ফেরত পাঠানো হয়।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রায়ান ক্লফলি বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্ভবত চীনা জেড-১০এমই অ্যাটাক হেলিকপ্টার মূল্যায়ন করবে।’

আইএসপিআর আরও জানায়, ‘এই সর্বাধুনিক, সব আবহাওয়ায় ব্যবহারের উপযোগী হেলিকপ্টারটি দিন-রাত নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। উন্নত রাডার সিস্টেম এবং অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জামে সজ্জিত এই হেলিকপ্টারটি আকাশ ও ভূমির বিভিন্ন হুমকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।’

মুজাফফরগড় ফায়ারিং রেঞ্জে সৈনিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সেনাপ্রধান তাদের ‘অসাধারণ মনোবল, পেশাদারিত্ব ও লড়াইয়ের দক্ষতার’ প্রশংসা করেন।

তিনি যৌথ বাহিনীর সমন্বিত কৌশলের সফল প্রদর্শনীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘যুদ্ধের ধরন যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে, তাতে সেনাবাহিনীর নির্ধারক অবস্থান ধরে রাখার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে এতে।’

পরে তিনি মুলতান গ্যারিসনে একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘হাইব্রিড হুমকি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্য, সামরিক-বেসামরিক সমন্বয় এবং পুরো জাতির সমন্বিত প্রয়াস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়