নড়াইলে লুটপাট-ভাঙচুরে সর্বস্বান্ত, নিরাপত্তাহীনতায় গ্রামের মানুষ

মো. নূরুন্নবী সামদানী, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৩৮, মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নড়াইলের কালিয়ার কাঞ্চনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, মামলা ও পাল্টা মামলার পর কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, নিরাপত্তাহীনতায় তাঁরা গ্রাম ছাড়া।

“ঘরে থাকা কয়ডা চাল-থালাবাটিও নিয়ে গেছে”— চোখের পানি ধরে রাখতে না পেরে কথাগুলো বলছিলেন কাঞ্চনপুর গ্রামের রাশেদা বেগম। অভিযোগ, প্রতিপক্ষের হামলায় তাঁর ঘরে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। 

তারা সবকিছু নিয়ে গেছে, টিউবওয়েল খুলে নিয়েছে, থালা-বাসন, চাল-ডাল, ঘরে কিছু রাখে নাই মাইনষি করলে এভাবে করে না।

গত এপ্রিল মাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হন ফরিদ মোল্যা। এরপর শুরু হয় একের পর এক মামলা ও পাল্টা হামলা। ফরিদের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়, আর কিছুদিন পর নিহত হন মামলার এক আসামি রফিকুল ইসলাম। এরপর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। “বুকের ওপর ভেলা ধরে বলেছে, ‘বাড়ি ছাড়’। আমি ভয়ে ঘর ছেড়ে পালাইছি। পরে সব নিয়ে গেছে, মাছও ধরে নিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনে অন্তত ৩০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। অনেকেই এখন আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়িতে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রতিপক্ষ মিলন মোল্যা পক্ষ। তাঁদের দাবি, ফরিদ হত্যার পর প্রথমে হামলা হয়েছিল তাঁদের বাড়িতেই।

এদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে এবং পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এদিকে কালিয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান “বিভিন্ন ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ দিকে সহিংসতা আর নিরাপত্তাহীনতায় আতঙ্কিত কাঞ্চনপুরের মানুষ। অনিশ্চয়তায় তাঁরা দিন কাটাচ্ছেন – জানেন না কখন ফিরবে শান্তি।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়