জাদু দেখাচ্ছেন মেসি, জয় পাচ্ছে মায়ামি
অনলাইন ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন
ম্যাজিক যেন তার পায়ে বাঁধা—একটা নয়, একের পর এক জাদু দেখিয়ে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। তার দুরন্ত ছন্দে উড়ছে ইন্টার মায়ামি। ন্যাশভিলের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে একাই জোড়া গোল করে দলকে জেতালেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। শুধু জয়ই নয়, সঙ্গে গড়লেন নতুন ইতিহাসও—এমএলএস-এ টানা পাঁচ ম্যাচে একাধিক গোল করার অনন্য কীর্তি এখন মেসির দখলে।
ম্যাজিক যেন তার পায়ে বাঁধা—একটা নয়, একের পর এক জাদু দেখিয়ে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। তার দুরন্ত ছন্দে উড়ছে ইন্টার মায়ামি। ন্যাশভিলের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে একাই জোড়া গোল করে দলকে জেতালেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। শুধু জয়ই নয়, সঙ্গে গড়লেন নতুন ইতিহাসও—এমএলএস-এ টানা পাঁচ ম্যাচে একাধিক গোল করার অনন্য কীর্তি এখন মেসির দখলে।
এই জয়ের ফলে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল ইন্টার মায়ামি। ১৫ ম্যাচে মেসির গোল সংখ্যা এখন ১৬টি, যা তাকে ন্যাশভিলের স্যাম সারিজের সঙ্গে যৌথভাবে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতায় পরিণত করেছে, সারিজের চেয়ে ৬ ম্যাচ কম খেলেই।
ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলে ম্যাচের ১৭তম মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিক থেকে মেসি প্রথম গোলটি করেন। বাঁ পায়ের নিচু শটে বল জালে পাঠিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের ৬৯তম সরাসরি ফ্রি কিক গোলটি করেন তিনি। এটি ছিল ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসির ষষ্ঠ ফ্রি কিক গোল এবং এমএলএস-এ টানা ষষ্ঠ ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব। দ্বিতীয়ার্ধে ৬২তম মিনিটে গোলরক্ষক জো উইলিসের একটি ভুল পাস কেটে নিয়ে মেসি দ্বিতীয় গোলটি করেন, গোলরক্ষককে কাটিয়ে সহজেই বল জালে পাঠান তিনি।
এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো মেসি টানা পাঁচটি লিগ ম্যাচে একাধিক গোল করার কীর্তি গড়লেন। সে সময় বার্সেলোনার হয়ে লা লিগায় তিনি টানা ছয় ম্যাচে একাধিক গোল করেছিলেন।
ন্যাশভিলের হয়ে হানি মুখতার একমাত্র গোলটি করেন অ্যান্ডি নাজারের ক্রস থেকে। তবে জয় ধরে রাখে ইন্টার মায়ামি, যারা পূর্বাঞ্চলীয় কনফারেন্সে শীর্ষ দু’দল ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন ও এফসি সিনসিনাটির সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে এনেছে পাঁচ পয়েন্টে।
ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো আগের ম্যাচেই বলেন, ‘স্পষ্টতই, লিও এক বিশেষ খেলোয়াড়। আমার মতে, সে ফুটবল ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ। সে এমন কিছু করে দেখাচ্ছে যা আমরা ভেবেছিলাম আর দেখা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুসকেটস ও মেসি বহু বছর একসঙ্গে খেলেছে। একে অপরকে না দেখেও বোঝে কে কোথায় বল চায়। আজকের দ্বিতীয় গোলেই তা বোঝা যায়।’