নাগরপুরে অনন্য দৃষ্টান্ত: রাস্তা নির্মাণে জমি দিলেন এলাকাবাসী, পাশে ছাত্রশিবির

বিশেষ প্রতিনিধি। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ রাত ০৯:৫১, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের পশ্চিম পাতিলা গ্রামে গড়ে উঠেছে এক বিরল দৃষ্টান্ত—সরকারি সহায়তা ছাড়াই এলাকাবাসী নিজেদের জমি ও শ্রম দিয়ে নির্মাণ করছেন বহু কাঙ্ক্ষিত চলাচলের রাস্তা। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে ওঠা এই উদ্যোগ এখন সারা এলাকায় প্রশংসার বিষয় হয়ে উঠেছে।

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের পশ্চিম পাতিলা গ্রামে গড়ে উঠেছে এক বিরল দৃষ্টান্ত—সরকারি সহায়তা ছাড়াই এলাকাবাসী নিজেদের জমি ও শ্রম দিয়ে নির্মাণ করছেন বহু কাঙ্ক্ষিত চলাচলের রাস্তা। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ে ওঠা এই উদ্যোগ এখন সারা এলাকায় প্রশংসার বিষয় হয়ে উঠেছে।

দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। রাস্তাঘাট না থাকায় শিশুদের স্কুলে যাওয়া, অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া, কিংবা হাটবাজারে যাতায়াত ছিল এক কথায় দুর্বিষহ। অবশেষে "আর না"—এই সিদ্ধান্তেই একত্রিত হন এলাকাবাসী। কেউ জমি দেন, কেউ শ্রম—এভাবেই জন্ম নেয় এক গণউদ্যোগ।

এই উদ্যোগে ৭ জুলাই সোমবার সরেজমিনে উপস্থিত হয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, নাগরপুর উপজেলা শাখার একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন সেক্রেটারি আব্দুল হাকিম, অফিস সম্পাদক হাফেজ আব্দুল কাদের এবং বায়তুলমাল সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মাহিন।

পরিদর্শনকালে ছাত্রশিবির নেতারা স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের এই আত্মনিবেদিত কাজের প্রশংসা করেন। শুধু প্রশংসাতেই থেমে থাকেনি ছাত্রশিবির, রাস্তা নির্মাণে ব্যস্ত স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য আয়োজন করে দুপুরের খাবারও।

ছাত্রশিবির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন,
“এলাকাবাসীর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সত্যিই গর্বের বিষয়। সরকারের দিকে না তাকিয়ে নিজেরাই জমি ও শ্রম দিয়ে যে কাজটি শুরু করেছেন, তা দেশের অন্যান্য এলাকার জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় এমন জনকল্যাণমূলক কাজে পাশে থাকবে।”

স্থানীয় এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন,
“আমরা কষ্ট করেছি বছরের পর বছর। একসময় ঠিক করলাম, নিজেদের জন্য নিজেরাই কিছু করবো। আজ ছাত্রশিবির আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, এতে আমাদের মনোবল আরও বেড়েছে।”

এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন, এই রাস্তাটি দ্রুত সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারযোগ্য হবে এবং গ্রামের জীবনযাত্রায় এক নতুন অধ্যায় সূচিত করবে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়