জয় দিয়েই গ্লোবাল সুপার লিগ শুরু রংপুর রাইডার্সের
অনলাইন ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন
গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) দারুণ জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে রংপুর রাইডার্স। গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা ৮ রানে হারিয়েছে টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দল গায়ানা অ্যামাজন ওরিয়র্সকে।
গ্লোবাল সুপার লিগে (জিএসএল) দারুণ জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে রংপুর রাইডার্স। গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা ৮ রানে হারিয়েছে টুর্নামেন্টের স্বাগতিক দল গায়ানা অ্যামাজন ওরিয়র্সকে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) গায়ানার প্রভিডেন্স পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানে ইনিংস শেষ করে রংপুর।
ম্যাচের শেষ ওভারে জয়ের জন্য গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের প্রয়োজন ছিল ৯ রান, আর রংপুর রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল শুধু একটি উইকেট। এমন সমীকরণে হয়ে বল হাতে এগিয়ে আসেন আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এসে প্রথম বলেই গায়ানার ডেভিড ওয়াইজকে বোল্ড করে রংপুরকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। এতেই ১৫৪ রানেই গুটিয়ে যায় গায়ানা।
ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে সৌম্য সরকার। আগেরবার ফাইনালের মঞ্চে অপরাজিত ৮৬ রানের ঝলমলে ইনিংস ছিল তার। এবার গ্লোবাল সুপার লিগের শুরুতেই ঝলক দেখালেন। সাইফ হাসানকে সঙ্গী করে পাওয়ারপ্লে শেষে রংপুর রাইডার্সের স্কোরবোর্ডে ৪০ রান জমা করেন সৌম্য। এর মাঝে ডেভিড উইজের বলে আউট হলেও, রিভিউয়ে বেঁচে যান তিনি।
অষ্টম ওভারে সাইফের উইকেট তুলে নেয় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। ১৮ বল খেলে ১৮ রান করেন সাইফ। এরপর বেশি সময় টিকেননি সৌম্যও। ৩৬ বলে করেন ৩৫ রানে থামে তার ইনিংস। পরের ওভারেই রংপুর শিবিরে হানা দেন ৪৬ বছর বয়সী ইমরান তাহির। টানা দুই বলে ফেরান আফগান অলরাউন্ডার আজমাতুল্লাহ ওমারজাই ও ইয়াসির আলি রাব্বিকে।
হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও বেঁচে যান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ১০ ওভারে রংপুরের রান তখন মাত্র ৮০ ছুঁইছুঁই, স্ট্রাইক রেটও কাছাকাছি ১০০-এর।
এরপর সোহানও বেশিক্ষণ টিকেননি, ১০ বলে ১৮ রান করে ফিরলে দলের হাল ধরেন দুই বিদেশি—কাইল মায়ার্স ও ইফতিখার আহমেদ। এই জুটিই গড়েন দলের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। তাদের জুটিতে ৪৩ বলে আসে ৭৬ রান। যদিও প্রতিপক্ষের উদার মিসফিল্ড আর ক্যাচ মিসেরও বড় ভূমিকা ছিল এই জুটির ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৬২ রান।
জবাবে গায়ানা ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারে আজমাতুল্লাহর বলে গুরবাজ ফেরেন ৮ রানে। এরপর মঈন আলি ও চার্লস কিছুটা গতি আনেন ইনিংসে। ৮ ওভারের মাথায় দলের রান ছুঁয়ে যায় ৭০। চার্লস করেন ২৮ বলে ৪০, মঈনের ব্যাটে আসে ১৮ বলে ২৭ রান। এই দুই ব্যাটারকেই পরপর দুই ওভারে ফেরান হারমিত সিং ও তাবরাইজ শামসি।
তবে হেটমায়ার আর রাদারফোর্ডের ছোট কিন্তু ঝড়ো ইনিংসে শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন দাঁড়ায় মাত্র ৩৮ রান। ঠিক এই জায়গাতেই জ্বলে ওঠেন খালেদ আহমেদ। হেটমায়ার-রাদারফোর্ডকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরান রংপুরকে। এরপর একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে পূর্ণ করেন নিজের চার উইকেট। ওমারজাই ও শামসি নেন ২টি করে উইকেট। বোলারদের তাণ্ডবে ৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর।