টেকনাফ উপজেলায় ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত!

আলমগীর আকাশ টেকনাফ, কক্সবাজার প্রতিনিধি। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১২, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় টানা ভারী বৃষ্টিপাতে প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, যার ফলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্বিহের জীবন যাপন করছে। এর মধ্যে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৮টি গ্রাম, হ্নীলা ইউনিয়নে ১০ থেকে ১২টি গ্রাম, টেকনাফ পৌরসভার ৭টি গ্রাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম, সাবরাং ইউনিয়নে ৭টি গ্রাম, বাহারছড়া ইউনিয়নে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় টানা ভারী বৃষ্টিপাতে প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, যার ফলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্বিহের জীবন যাপন করছে। এর মধ্যে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৮টি গ্রাম, হ্নীলা ইউনিয়নে ১০ থেকে ১২টি গ্রাম, টেকনাফ পৌরসভার ৭টি গ্রাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম, সাবরাং ইউনিয়নে ৭টি গ্রাম, বাহারছড়া ইউনিয়নে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বর্তমানে এই সব গ্রামে হাজার হাজার  পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এসব গ্রাম সমুহ হল, জালিয়াপাড়া, সাইটপাড়া, ফুলের ডেইল, আলী আকবর পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, আলীখালি, চৌধুরী পাড়া, পূর্ব পানখালী, মৌলভীবাজার, খারাং খালী, নয়া বাজার, লামার পাড়া, ওয়াব্রাং, সুলিশপাড়া ও পূর্ব সিকদার পাড়া। গ্রামগুলোর চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


টেকনাফ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, টেকরাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, কলেজপাড়া, শীলবুনিয়া পাড়া, নাইট্যং পাড়া, ডেইলপাড়া, খানকারডেইল, চৌধুরীপাড়া, কে,কে পাড়ার মানুষ এখন পানিবন্দি। পানিতে ডুবে আছে টেকনাফ কলেজসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। পৌরসভার ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু ঘরবাড়িসহ চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্হা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বাতাসের তীব্র গতির কারণে গাছগাছালি ভেঙ্গে অনেকের ঘরবাড়ি সহ ঘেরা বেড়া নষ্ট হয়েছে এবং কৃষকদের অনেক ফসল উৎপাদনের জমি ও ফসলের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা কমে যাবে উৎপাদনের। অনেক মুরগির খামার, গরুর খামার পানিতে ডুবে গেছে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।


টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, টেকনাফ সদরের ৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, মহেশখালীয়া পাড়া, নতুন পাল্লান পাড়া, তুলাতুলি, লেঙ্গুরবিল, খোনকারপাড়া, মাঠপাড়া ও রাজারছড়া, জাহাঁলিয়া পাড়া।

একই সঙ্গে সাবরাং ইউনিয়নের  শাহপরীর দ্বীপের ৭টি গ্রামসহ ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে,, যে সব গ্রাম বেশি পানি বন্দি আছে মানুষ  তা হলো, লম্বা বিল, উলুবনিয়া, আমতলি, মিনাবাজার, উনচিপ্রাং, কাঞ্চনপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, রইক্ষ্যং গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন জানান, ভারী বর্ষণের কারণে টেকনাফ উপজেলার কিছু গ্রামে প্লাবিত হয়েছে  ও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পাশাপাশি পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকাল থেকে পাহাড়ের আশেপাশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হচ্ছে। এজন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়