মেহেরপুরের কথিত সাংবাদিক ফয়েজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা ও সেনা ক্যাম্পে পৃথক অভিযোগ

মেহেরপুর প্রতিনিধি: || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

মেহেরপুরে আমাদের মাতৃভ‚মি নামের একটি পত্রিকার কথিত সাংবাদিক এস এম ফয়েজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয় একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মেহেরপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পেও আরেকজন ভূক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মেহেরপুরে আমাদের মাতৃভ‚মি নামের একটি পত্রিকার কথিত সাংবাদিক এস এম ফয়েজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয় একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মেহেরপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পেও আরেকজন ভূক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ জুন মেহেরপুর আদালতে শফিকুল নামের এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-সি. আর ৪৫৪/২০২৫। একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আঃ সালাম নামের অরেক ব্যক্তি মেহেরপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্পে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, চিৎলা ফার্মে মাস্টাররোলে নিয়োজিত লেবার শফিকুল ইসলাম রান্ন্য় পারদর্শী হওয়ায় অফিস প্রধানের ব্যক্তিগত রান্নাবান্না ও গেস্ট হাউস তদারকির দায়িত্ব পালন করতেন।

 বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপন করে ফয়েজ ওই কর্মচারীকে ঘিরে “মাঠে না গিয়ে অফিসারের বাড়িতে কাজ করেন এবং গেস্ট হাউজের এসি চালিয়ে ঘুমান শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মোট অংকের চাঁদা দাবি করেন। চাকরি হারানোর ভয়ে শফিকুল একপর্যায়ে নিজের মেয়ে জামাই সোহাগ হোসেনের মধ্যস্থতায় কিছু টাকা প্রদান করেন। কিন্তু দাবি অনুযায়ী পূর্ণ টাকা না পেয়ে মেসেজের মাধ্যমে আবারও চাকরি হারানোর ভয় ও সংবাদ প্রকাশের হুমকি দেয় এবং একপর্যায়ে একটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করে যাতে শফিকুলের সম্মানহানি হয়। 


এই ফয়েজের বিরুদ্ধে শুধু শফিকুলই নন আঃ সালাম নামের আরও এক ব্যক্তি মেহেরপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবর চাঁদাবাজির পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে ফয়েজ তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে সালাম প্রতিকার চেয়ে সেনাবাহিনীর শরণাপন্ন হন। অভিযোগকারীরা বলেন, ফয়েজ সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে অফিস প্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করা তার পেশা। 

কখনো ছবি তুলে, কখনো তথ্য বিকৃত করে সংবাদ তৈরির ভয় দেখিয়ে তিনি নিয়মিত চাঁদা দাবি করেন। এমনকি টাকা না পেলে ভূয়া প্রতিবেদন ছাপিয়ে ভূক্তভোগীদের সামাজিকভাবে হেয় করার কৌশলও গ্রহণ করেন। ফয়েজের এমন কর্মকান্ডে স্থানীয় সচেতন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, সাংবাদিকতার মত এমন পবিত্র পেশাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কেউ যদি চাঁদাবাজি করে সেটি শুধু আইনশৃঙ্খলার জন্য নয় গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্যও হুমকিস্বরুপ। ভূক্তভোগীরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়