পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার পলাতক আসামি গুডু আরিফ গ্রেফতার।
মোঃ আরাফাত তালুকদার পটুয়াখালী প্রতিনিধি । || বিএমএফ টেলিভিশন
পটুয়াখালী থানায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা আসামি মো. আরিফুর রহমান ওরফে গুডু আরিফ ঔ গ্রেপ্তার হয়েছেন। রাজধানীর আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার মাছের আড়ত সংলগ্ন এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।
পটুয়াখালী থানায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা আসামি মো. আরিফুর রহমান ওরফে গুডু আরিফ ঔ গ্রেপ্তার হয়েছেন। রাজধানীর আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার মাছের আড়ত সংলগ্ন এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে আরিফ ছদ্মবেশে ‘বাপ্পী’ নামে নিজেকে পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় ভাসমানভাবে বসবাস করছিলেন। চতুর কৌশলে নিজের আসল পরিচয় গোপন রেখে তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে ছিলেন। তবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এক বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।জানা যায়, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ রোড এলাকায় সংঘটিত একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৯ সালে আদালত আরিফকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি পৃথক মামলায় তিন বছরের সাজা পরোয়ানাও রয়েছে। সেই মামলার রায় হওয়ার পরও তিনি আত্মগোপনে ছিলেন এবং পলাতক হিসেবে পুলিশের খাতায় অন্যতম 'মোস্ট ওয়ান্টেড' আসামিদের একজন ছিলেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী শহরে তিনি একসময় ‘গুডু আরিফ’ বা ‘সন্ত্রাসী আরিফ’ নামে পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও অপরাধ সংশ্লিষ্টতার তথ্য রয়েছে এবং এলাকায় একসময় তার ব্যাপক দাপট ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছিল।গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ মাইনুল হাসান।