কমল-রেখা ও বাণীর এক রাতের রহস্য

বিনোদন ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৫৮, বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আশির দশকের বলিউড মানেই রঙিন রূপালি পর্দার আড়ালে অসংখ্য জল্পনা-কল্পনার গল্প। ঠিক তেমনই একটি বিতর্কিত অধ্যায় ফের আলোচনায় আসে টিনসেল টাউনে—যার কেন্দ্রে ছিলেন ‘এভারগ্রিন’ রেখা ও দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসন। সঙ্গে ছিলেন কমলের স্ত্রী বাণী গণপতিও। চেন্নাইয়ের অভিজাত হোটেল চোলা শেরাটনে ঘটে যাওয়া সেই রাতের ঘটনা আজও ঘোর লাগা রহস্য হয়ে ঘুরে ফিরে আসে বলিউডের অন্দরমহলে। বাস্তবের নাটকীয়তায় যা হার মানায় রুপালি পর্দার কল্পনাকেও।

আশির দশকের বলিউড মানেই রঙিন রূপালি পর্দার আড়ালে অসংখ্য জল্পনা-কল্পনার গল্প। ঠিক তেমনই একটি বিতর্কিত অধ্যায় ফের আলোচনায় আসে টিনসেল টাউনে—যার কেন্দ্রে ছিলেন ‘এভারগ্রিন’ রেখা ও দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসন। সঙ্গে ছিলেন কমলের স্ত্রী বাণী গণপতিও। চেন্নাইয়ের অভিজাত হোটেল চোলা শেরাটনে ঘটে যাওয়া সেই রাতের ঘটনা আজও ঘোর লাগা রহস্য হয়ে ঘুরে ফিরে আসে বলিউডের অন্দরমহলে। বাস্তবের নাটকীয়তায় যা হার মানায় রুপালি পর্দার কল্পনাকেও।

মুম্বাইয়ের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সাংবাদিকের স্মৃতি রোমন্থনে উঠে আসে সেই রাতের বর্ণনা। হোটেলের এক কর্মীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, ‘সেটা ছিল ১৯৭৯ সালের এক রাত। হোটেল চোলা শেরাটনে কাজে গিয়েছিলাম। দেখি চারদিকে হুলস্থুল। তখন রিসেপশনে থাকা মেয়েরা বলল, রেখা আর কমল হাসন একসঙ্গে রেখার রুমে ছিলেন। হঠাৎ করেই কামালের স্ত্রী বাণী গণপতি সেখানে হাজির হন এবং প্রকাশ্যে স্বামীকে ধমক দিতে শুরু করেন!’

তৎকালীন ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন ছিল, ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিন্দুম কোকিলা’ ছবির শুটিং চলাকালীন কমল হাসন ও রেখার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে কথা ছড়িয়েছিল। এরপরই নাকি ‘মিন্দুম কোকিলা’ থেকে রেখাকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছিল মালয়ালম অভিনেত্রী দীপা (উন্নি মেরি)-কে।

তবে কমল হাসন বা রেখা, কেউই এই ঘটনা নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি। ফলে আজও সত্য-মিথ্যার দোলাচলে রয়ে গেছে এই গল্প। সেই সময় কমল হাসন ছিলেন বাণী গণপতির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে। তবে এরপর সারিকার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।  শোনা যায়, সারিকার গর্ভধারণের পর ১৯৮৮ সালে বাণীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় এবং সেই বছরই সারিকার সঙ্গে বিয়ে করেন কমল।

অন্যদিকে, ‘সিলসিলা’ ছবির শুটিংয়ের সময় রেখা-অমিতাভ বচ্চনের সম্পর্ক নিয়েও বলিপাড়া তোলপাড় হয়েছিল। পর্দার রসায়ন বাস্তবে ছাপ ফেলেছিল বলেই মনে করেন অনেকেই। যদিও অমিতাভ ১৯৭৩ সালে জয়া বচ্চনের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন, রেখার উপস্থিতি তাদের জীবনে এক রহস্যঘেরা ছায়া হয়ে থাকত বহুদিন।

এমনকি ‘কারনামা’ ছবির পরিচালক রঞ্জিত ২০১৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, রেখার অনুরোধে ছবির শুটিং শিডিউল পাল্টাতে হয়েছিল, যাতে তিনি সন্ধ্যায় অমিতাভের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন।

পরে রেখা শিল্পপতি মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেছিলেন। তবে সেই বিয়ের পরিণতি মর্মান্তিকভাবে শেষ হয় স্বামীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা এই গল্পগুলো যেন সিনেমাকেও হার মানায়। তবে কতটা সত্য, কতটা গল্প—তার উত্তর আজও অজানা।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়