নাইক্ষ্যছড়ি সীমান্তে এক দিনের ব্যবধানে ফের মাইন বিস্ফোরণ ,রোহিঙ্গা যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
রফিক মাহমুদ উখিয়া প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
নাইক্ষ্যছড়ি সীমান্তে একদিনের ব্যবধানে ফের মাইন বিস্ফোরণ: রোহিঙ্গা যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে “লাল কাইন্দা” নামক স্থানে আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা যুবকের ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।
এ নিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে চোরাকারবারি করতে গিয়ে দুদিনের ব্যবধানে ২ বার স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং দুই চোরাকারবারি আহত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ১০ টার দিকে ঘুমধুম তুমব্রু পশ্চিমকুল-মিয়ানমার সীমান্ত পিলার ৩৩–৩৪ এর মধ্যবর্তী “লাল কাইন্দা” নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আহত যুবকের নাম মোহাম্মদ ইউনূস (২৫)। সে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এজাহার হোসেনের ছেলে। ওই যুবক সীমান্তের চোরাকারবারির সাথে জড়িত।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমার সীমান্তের ওই স্থানে আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা একটি স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়। তাৎক্ষণাত বিস্ফরণের ভয়াবহ শব্দ ভেসে আসে।
বিস্ফোরণের স্থান সীমান্তের খুব কাছাকাছি হওয়ায় চিৎকার শুনে এপার থেকে দুই যুবক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা আহত যুবককে উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে উখিয়ার কুতুপালং এম এস এফ হাসপাতালে নিয়ে যান। আহত যুবকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে, সীমান্তের চোরাকারবারিরা দেশীয় পণ্য মিয়ানমারে পাচারের সময় আরাকান আর্মির নির্দেশিত পথ অনুসরণ না করে ভিন্ন পথে যাওয়ার চেষ্টা করায় বার বার স্থলমাইন বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা ঘটেছে। যা সীমান্তে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন “সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক আহত হয়েছে। তবে সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি বিষয়টি দেখা শুনা করে থাকে। তার পরেও আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং চোরাকারবারির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে ২২ জুন সদর ইউনিয়নের জামছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন হয় এবং ২৫ জুন জারুলিয়াছড়ি বিওপির ৪৬ ও ৪৭ পিলারের পাশে স্থলমাইন বিস্ফোরণ হয়। এ নিয়ে গেল এক বছরে মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।