অদম্য সংকল্প ও স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল অঙ্গীকার নিয়ে আজ হরিনাকুন্ডুতে মহান বিজয় দিবস।

আব্দুল্লাহ আল মামুন হরিনাকুন্ডু সংবাদদাতা, || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৫০, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

আজ সেই মহিমান্বিত দিন, ১৬ই ডিসেম্বর। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ এবং দুই থেকে চার লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালির ললাটে মুক্তিসূর্য উদিত হয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত অত্যাচার, সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন এবং পূর্ব বাংলাকে শোষণ-বঞ্চনার নীল নকশা চিরতরে গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে এনেছিল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। আজ এই বিজয়ের ৫৫ বছর পূর্তিতে গোটা জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছে সেই বীর সেনানীদের এবং স্বাধীনতার সোপানে দৃঢ় সংকল্পিত প্রত্যয়ের বিজয়োল্লাস উদযাপন করছে মহান বিজয় দিবস।

আজ সেই মহিমান্বিত দিন, ১৬ই ডিসেম্বর। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ এবং দুই থেকে চার লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালির ললাটে মুক্তিসূর্য উদিত হয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত অত্যাচার, সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন এবং পূর্ব বাংলাকে শোষণ-বঞ্চনার নীল নকশা চিরতরে গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে এনেছিল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। আজ এই বিজয়ের ৫৫ বছর পূর্তিতে গোটা জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছে সেই বীর সেনানীদের এবং স্বাধীনতার সোপানে দৃঢ় সংকল্পিত প্রত্যয়ের বিজয়োল্লাস উদযাপন করছে মহান বিজয় দিবস।

ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরবর্তীতে প্রিয়নাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজমাঠ প্রাঙ্গনে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিদারুল আলম এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুন্সি ফিরোজা সুলতানার সঞ্চালনায়, 
জাতীয় কর্মসূচি হিসাবে, সভাপতির আসন গ্রহণ, অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহণ 
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত মাওলানা মোঃ মোজাম্মেল হক,পবিত্র গীতা পাঠ করেন ঊর্বশী রানী বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সকল অতিথিবিন্দু দাঁড়িয়ে থেকে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে বিজয় মঞ্চ হতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দিদারুল আলম ও হরিণাকুন্ডু থানা ইনচার্জ  মোঃ গোলাম কিবরিয়া। প্যারেড কমান্ডার এস আই শাহীনের সতর্কীকরণ, আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারেড কমান্ডার কর্তৃক জাতীয় পতাকার প্রতি  সম্মান প্রদর্শন, প্যারেড পরিদর্শনের আহবান, মার্চ পাস্ট শেষে প্যারেড দল স্ব স্ব স্হানে অবস্থান গ্রহণ, স্বেত কপোত অবমুক্তিকরন, বেলুন উড়ানো, অনুমতি সাপেক্ষে দল সমূহের মাঠত্যাগ, মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা প্রশাসন সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ, বিভিন্ন স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষিকাসহ ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতিতে সকল অতিথি মহোদয়দের নিয়ে আসন গ্রহণ।

ঐতিহ্যের গৌরবে বিজয় দিবসে হরিনাকুন্ডুর প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সকল সরকারি, বেসরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত ভবনে ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকানে পত পত করে উড়ছে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দিদারুল আলম রাষ্ট্রের পক্ষে স্বাগত বক্তব্যে প্রদান করেন, এই পতাকাই ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তির প্রতীক।বিজয় দিবসের এই দিনে জাতি নতুন করে শপথ নিচ্ছে-শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি দুর্নীতিমুক্ত, উন্নত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল হরিনাকুন্ডু বিনির্মাণ করার।বিজয় দিবস কেবল একটি তারিখ নয়, এটি বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়, দীর্ঘদিনের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক সম্মিলিত উত্থান এবং অদম্য সংকল্পের প্রতিচ্ছবি। তেঁজদীপ্ত হৃদয় আলিঙ্গনে এই জাতি আজ অহংকারে অহংকারী বিজয় গর্বে গর্বিত বাঙালি জাতি হিসেবে নিজেদের বিজয়কে উদযাপিত করছে। আজকের এই দিনটি বাঙালি জাতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তাদের মুক্তি এসেছে রক্তের বিনিময়ে, আর এই স্বাধীনতা রক্ষা করার অঙ্গীকার প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে দেশাত্মবোধের প্রেমিও চেতনায়  হিল্লোলিত হোক আগামীর বাংলাদেশ।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়