নেপালে প্রায় ১০০ পর্বত শৃঙ্গে বিনা ফিতে আরোহণের সুযোগ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন
পর্যটন খাতকে আরও শক্তিশালী করতে এবং নতুন এলাকা আবিষ্কারে উৎসাহ দিতে নেপাল সরকার উত্তরপশ্চিম হিমালয়ের দুর্গম অঞ্চলের প্রায় ১০০টি পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের ফি আগামী দুই বছরের জন্য সম্পূর্ণ মওকুফ করেছে। দেশটির পর্যটন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীন সীমান্তবর্তী অনুন্নত এবং পর্যটন-বঞ্চিত অঞ্চলগুলোর প্রতি পর্বতারোহীদের আকর্ষণ বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পর্যটন খাতকে আরও শক্তিশালী করতে এবং নতুন এলাকা আবিষ্কারে উৎসাহ দিতে নেপাল সরকার উত্তরপশ্চিম হিমালয়ের দুর্গম অঞ্চলের প্রায় ১০০টি পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের ফি আগামী দুই বছরের জন্য সম্পূর্ণ মওকুফ করেছে। দেশটির পর্যটন বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চীন সীমান্তবর্তী অনুন্নত এবং পর্যটন-বঞ্চিত অঞ্চলগুলোর প্রতি পর্বতারোহীদের আকর্ষণ বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে নেপালে ৪৯১টি চূড়ায় পর্বতারোহণের অনুমতি রয়েছে। তবে বেশিরভাগ পর্বতারোহীর নজর থাকে পূর্ব ও মধ্য হিমালয়ের সুপরিচিত ২৫টি চূড়ার দিকেই, যেগুলোর মধ্যে মাউন্ট এভারেস্ট সর্বোচ্চ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয়। প্রতিবছর শত শত দেশি-বিদেশি পর্বতারোহী এভারেস্টে আরোহণের চেষ্টা করেন।
পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তা হিমল গৌতম রয়টার্সকে বলেন, কার্নেলি ও সুদূরপশ্চিম প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ৯৭টি পর্বতশৃঙ্গের আরোহণ ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব চূড়ার উচ্চতা ৫,৮৭০ মিটার থেকে ৭,১৩২ মিটারের মধ্যে। তুলনামূলকভাবে কম উচ্চতার হলেও এই পর্বতগুলোর অবস্থান অত্যন্ত দুর্গম এবং এখনো অনেকটাই অনাবিষ্কৃত। এইসব চূড়াকে বিশ্বমানচিত্রে পরিচিত করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
গৌতম আরও বলেন, “এই মনোরম অথচ অবহেলিত অঞ্চলগুলোতে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াতে এবং স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, এই পদক্ষেপ নেপালের স্বল্পোন্নত এলাকার অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখবে।
অন্যদিকে, নেপাল সরকার সম্প্রতি অধিকাংশ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের ফি বাড়িয়েছে। ছোট চূড়াগুলোর ফি ২৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ ডলার করা হয়েছে। আর এভারেস্টের ক্ষেত্রে পূর্বের ১১ হাজার ডলার ফি বাড়িয়ে ১৫ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই ফি কার্যকর হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে।