বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস আজ
ডেস্ক রিপোর্ট || বিএমএফ টেলিভিশন
আজ ২২শে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই মহাপুরুষের শিল্প, সাহিত্য ও সংগীত আজও বাঙালির জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। বাংলা সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র ১২৬৮ সনের ২৫শে বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৩৪৮ সনের ২২শে শ্রাবণ (১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট) পৈতৃক বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজ ২২শে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই মহাপুরুষের শিল্প, সাহিত্য ও সংগীত আজও বাঙালির জীবনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে আছে। বাংলা সাহিত্যের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র ১২৬৮ সনের ২৫শে বৈশাখ (ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৭ মে) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৩৪৮ সনের ২২শে শ্রাবণ (১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট) পৈতৃক বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী, সমাজসংস্কারক ও দার্শনিক। ১৯১৩ সালে 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে প্রথম হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর সৃষ্টিশীলতা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল, যা তাঁর শেষ কবিতা 'তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি' থেকে প্রমাণিত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে রবীন্দ্রসংগীত, কবিতা ও সাহিত্য অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁর রচিত 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষাবিস্তার, সাংগঠনিক কর্ম ও সমাজকল্যাণমূলক কাজেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি কৃষক ও পল্লি উন্নয়নের জন্য চালু করেছিলেন কৃষিঋণব্যবস্থা। নতুন ধরনের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠান। জালিয়ানওয়ালাবাগে দেশবাসীর ওপর ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সেনাদের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে তিনি ত্যাগ করেছিলেন নাইটহুড খেতাব।
বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও নাটক প্রচার করছে। আজ সন্ধ্যায় ছায়ানটে গীতি আলেখ্যসহ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। আগামীকাল বাংলা একাডেমিতে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে গবেষক, সমালোচক, কবি ও লেখকরা আলোচনায় অংশ নেবেন।