ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই নির্বাচন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৫৪, মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাবেন যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাবেন যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

তিনি মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন। ‘জুলাই গণঅভুত্থান দিবস’ উপলক্ষে তিনি এ ভাষণ দেন।

“ফেব্রুয়ারি বেশি দূরে নয়। নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নিতে নিতেই ভোটের দিন এসে পড়বে। বহু বছর আমরা কেউ ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা সবাই ভোট দেবো। কেউ বাদ যাবে না। সবাই যেন বলতে পারি নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশকে রওনা করার জন্য আমি আমার ভোটটা দিয়েছিলাম,” ভাষণে বলেছেন মি. ইউনূস।

তিনি বলেন, “ নির্বাচন আসছে। যদি আপনি আপনার নির্বাচনি এলাকা থেকে দূরে বসবাস করেন তবে এখন থেকে নিয়মিত নির্বাচনি এলাকা পরিদর্শন করুন। যাতে সেরা ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে আপনি প্রস্তুত হতে পারেন”।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে দাবি করেছেন যে, জাতীয় জীবনে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে, অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে, সংকট দূর হয়েছে। তিনি বলেছেন, তারা এখন অন্তর্বর্তী সরকার থেকে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর দায়িত্ব গ্রহণে চার মাসের মাথায় জাতির উদ্দেশ্যেই দেয়া ভাষণে তিনি ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। পরে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে তার বৈঠকের পর বিএনপি ও সরকার যৌথভাবে জানায় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হতে পারে। তার আজকের ভাষণে সেই বিষয়টিই আবার উঠে আসলো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "তবে নির্বাচনের আগে আমাদের অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ। আজ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে, সকল রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা জাতির কাছে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করেছি"।

"এবার আমাদের সর্বশেষ দায়িত্ব পালনের পালা। নির্বাচন অনুষ্ঠান। আজ এই মহান দিবসে আপনাদের সামনে এ বক্তব্য রাখার পর থেকেই আমরা আমাদের সর্বশেষ এবং সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে প্রবেশ করব। আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব," বলেছেন তিনি।
 

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়