মান্দায় জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির র্যালী
সোহেল রানা || বিএমএফ টেলিভিশন
গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকার পতন ও জুলাই-আগষ্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ও কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসাবে "বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল" মান্দা উপজেলা শাখার উদ্যোগে বণাঢ়্য বিজয় র্যালি ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ৫ ই (আগস্ট) সকাল ১০ টার সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।বিজয়র্যালিটি উপজেলার কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রসাদপুর বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে,বিজয় র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি'র) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও মান্দা উপজেলা বিএনপির নব-নির্বাচিত কমিটির সভাপতি এম.এ. মতিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,মান্দা উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ।বিজয়রালীতে এম.এ.মতিন বলেন, জুলাই-আগস্টের চেতনাকে পাশ কাটিয়ে এবং শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না বলে তিনি হুশিয়ারি দেন।গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বাংলাদেশে ঠাঁই হবে না।দীর্ঘদিন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত ছিল এ দেশের মানুষ। বাংলাদেশকে গ্রাস করে নিয়েছিল এক দুর্নীতিবাজ সরকার।দেশকে বানিয়েছিলো পরিবারতন্ত্র। কায়েম করতে চেয়েছিল এক স্বৈরাচার সরকার।অবশেষে ১৯৭১ সালের মত ছাত্রজনতা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে।ছাত্র জনতার দীর্ঘ এক মাস লড়াই সংগ্রামের পর স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন।গত বছরের জুলাই -আগস্ট মাস ধরেই উত্তাল ছিল ঢাকার রাজপথ সহ সারা দেশ।অবশেষে আমরা ৫ ই আগস্টে মধ্যদিয়ে ফিরে পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা ।কিন্তু এ স্বাধীনতা অর্জণ করতে ১৯৭১ সালের মত ২০২৪ সালে এসে আন্দোলন ও লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে।অনেক বীর সন্তানকে জীবন দিতে হয়েছে।তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট মাগফেরাত কামনা করি।আল্লাহ যেন তাদেরকে বেহেস্ত নসিব করে। সেই সঙ্গে অন্তর্বতী সরকারকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, যে সমস্ত সূর্য সন্তানদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতার পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোক।এদেশের মানুষ যেন আবার নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে।স্বাধীনভাবে চলতে পারে, নিজের ভোট নিজে দিতে পারে।আর এগুলো প্রতিষ্ঠা হলেই আমাদের বীর সন্তানদের আত্মা শান্তি পাবে।তিনি আরো বলেন,আপনাদের জনপ্রিয়তা থাকলে নির্বাচনে আসেন।নির্বাচনকে নিয়ে এত ভয় কেন? আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং যেন কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি