৪৫০ বছর পর জেগে উঠলো রাশিয়ার সুপ্ত আগ্নেয়গিরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:২৫, রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ৪৫০ বছরের নীরবতা ভেঙে প্রথমবারের মতো অগ্ন্যুৎপাত ঘটলো রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপের ক্র্যাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরিতে। দেশটির জরুরি সংস্থা কর্তৃপক্ষ রোববার (৩ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দীর্ঘ ৪৫০ বছরের নীরবতা ভেঙে প্রথমবারের মতো অগ্ন্যুৎপাত ঘটলো রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপের ক্র্যাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরিতে। দেশটির জরুরি সংস্থা কর্তৃপক্ষ রোববার (৩ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ১৫৫০ সালে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত হওয়া এই আগ্নেয়গিরি থেকে ছাইয়ের বিশাল স্তূপ বেরিয়ে আসছে। কামচাটকার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে জানিয়েছে, এই ছাই প্রায় ১৯ হাজার ৭০০ ফুট (৬,০০০ মিটার) উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং তা পূর্ব দিকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যে পথে ছাইগুলো যাচ্ছে সেখানে কোনো জনবসতিপূর্ণ এলাকা নেই এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোনো ছাই পড়ার ঘটনা এখনো পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়নি।

মন্ত্রণালয় অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকির কারণে এই অঞ্চলে বিমান চলাচলের ওপর সতর্কতা জারি করেছে, যার ফলে এই অঞ্চলের আকাশপথে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে পরপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ইউরোপ ও এশিয়ার সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি ক্লাইচেভস্কয়ে অগ্ন্যুৎপাতের পর এবার সুপ্ত আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হলো। গ্লোবাল ভলকানিস্ট প্রোগ্রাম জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ক্লাইচেভস্কয়ের অন্তত ১৮টি অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে, যা বেশ স্বাভাবিক।

এই দুটি অগ্ন্যুৎপাতই রাশিয়ার ইতিহাসে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর একটির পর ঘটেছে। গত বুধবার কামচাটকা উপদ্বীপে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা ২০১১ সালের পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। এর ফলে চীন, জাপানসহ এশিয়ার কিছু দ্বীপ অঞ্চলে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছিল এবং জাপান থেকে হাওয়াই ও ইকুয়েডর পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ভূমিকম্পে রাশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। দেশটির সেভেরো-কুরিলস্ক বন্দর সুনামির প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং একটি মাছ ধরার কারখানা ডুবে গেছে।
 

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়