কুষ্টিয়া পোড়াদহে কাপড়ের হাট নিয়ে ব্যবসায়ী-ইজারাদারের পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:০৯, মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পোড়াদহ কাপড়ের হাট। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার অবস্থিত প্রাচীন কাপড়ের এই হাটটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড়ের হাট হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৬৮ সালে হাটটির সূচনা হয়, যা প্রথমে সপ্তাহে একদিন বসতো। স্বাধীনতার পর ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে সপ্তাহে তিন দিন বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারে বসে এই হাট। প্রতি বছরের বাংলা সনের বৈশাখ মাসে এক বছরের জন্য মিরপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে হাটটি টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করা হয়। এবার ১৪৩২ খ্রস্টিাব্দে বৈশাখ মাস থেকে হাটটি ইজারায় পেয়েছেন মিরপুর উপজেলার আটি গ্রামের জমারত আলী। এর পর থেকেই স্থানীয় দোকানদার এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকারী দরের ক্রেতারা নানান ধরনের অভিযোগ তুলেছেন ইজারাদারের বিরুদ্ধে। 

ব্যবসায়ীদরে দাবী, এই হাটটি জমারত আলী ইজারা নেওয়ার পর থেকে তারা সরকারিভাবে নির্ধারিত স্থান ছাড়াও হাটের বাইরে মালিকানা জায়গায় নির্মিত দোকান ও মার্কেট থেকে জোরপূর্বকভাবে খাজনা আদায় করা হচ্ছে।

হাটের বাইরে থেকে মালিকানাধীন জমির উপর নির্মিত দোকান থেকে জোরপূর্বক খাজনা আদায়ের অভিযোগ তুলে কুষ্টিয়া আদালতে একটি মামলাও করেছে স্থানীয় হাটের সীমানার বাইরের ব্যবসায়ীরা। এর বাইরে যে মালিকানা সম্পত্তি আছে এখানে খাজনা নেয়া বন্ধ করার দাবী করেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকারি কাপরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে পোড়াদহ কাপরের হাট থেকে কাপর কিনে নিয়ে যান। আগের তুলনায় এখন খাজনা বেশি নিচ্ছে ইজারাদাররা। এছাড়াও হাটের বাইরের সিমানা, পোড়াদহ বাজার, রেললাইনের পাশে সহ সিমানার বাইরের প্রত্যেক দোকান থেকে কাপর কিনলেই ইজারাদারকে খাজনা দিতে হচ্ছে তাদের। যেটা পুরোটাই অন্যায় করা হচ্ছে বলে দাবী তাদের। 
 

তবে হাট ইজারাদার বলছেন, খাজনা আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে যে শর্ত দিয়েছে তনিি তা পরিপূর্ণভাবে পালন করছনে। তারপর কোন অভিযোগ ছাড়াই গত ১৫ দিন জোরপূর্বক খাজনা আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ ১৫ দিনের বন্ধ থাকার মধ্যেই একটা স্বার্থনেশী মহল হাটের ইজারার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই মধ্যে আদালত আগামী সাত দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়।
 

এবিষয়ে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জানান, এই হাটটি অনেক পুরনো হাট। আগে অনেক ছোট ছিলো এখন হাটটি বড় হয়ে ব্যাক্তি মালিকানা জমিতে সম্প্রসারিত হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়