নোয়াখালীতে পানি নামতে শুরু করলেও বাড়ছে জনদুর্ভোগ

অনলাইন ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৯, শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পর শুক্রবার (১১ জুলাই) দিনব্যাপী নোয়াখালীতে রোদের দেখা মিলেছে। পানি ধীরগতিতে নামছে। জেলার নিম্নাঞ্চল ও শহরের বেশিরভাগ এলাকায় এখনো বন্যার পানি জমে রয়েছে। কিন্তু জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারণ করেছে।

টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পর শুক্রবার (১১ জুলাই) দিনব্যাপী নোয়াখালীতে রোদের দেখা মিলেছে। পানি ধীরগতিতে নামছে। জেলার নিম্নাঞ্চল ও শহরের বেশিরভাগ এলাকায় এখনো বন্যার পানি জমে রয়েছে। কিন্তু জনদুর্ভোগ তীব্র আকার ধারণ করেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৩ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫টি বসতঘর। সুবর্ণচরে একটি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে।

সরেজমিনে মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর, সেন্ট্রাল রোড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, রেললাইন-সংলগ্ন এলাকা, মোক্তার মসজিদ, জেলা জজ আদালত সড়ক, ছাবিম মিয়া সড়ক, হাকিম কোয়ার্টার, আল ফারুক একাডেমি ও মেথর পল্লি এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে—এসব এলাকায় এখনো রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে রয়েছে। আশপাশের অনেক বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে। টানা বৃষ্টির বিরতিতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।

জেলা শহরের বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতায় নোয়াখালীর মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরেও কেউ পাচ্ছেন না নিরাপদ ঠাঁই। ঘরবাড়ি, রান্নাঘর, পুকুর—সবই পানিতে তলিয়ে আছে। কারও কারও ঠাঁই হয়েছে শুকনো জায়গায়, তবে অনেকেই এখনো ভেঙে পড়া ঘরে কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। রোদের দেখা মিললেও দুর্ভোগ কাটেনি, বরং পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। তবে আমরা দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পানি চলাচলের পথগুলো সচল করতে কাজ করছেন।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়