শান্তিগঞ্জে এসএসসি'র ফলাফলে হতাশ অভিভাবক

শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান, শান্তিগঞ্জ : || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০৮, শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭.৮০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, তবে সন্তুষ্ট নন অভিভাবকরা।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৭.৮০ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কিছুটা বেড়েছে ঠিকই, তবে সন্তুষ্ট নন অভিভাবকরা।

তাদের মতে, আরও ভালো ফলের সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক—তিন পক্ষেরই অনাগ্রহের কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি।

জানা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে উপজেলার ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১,৩৫৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, পাস করেছে ১,০২২ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৩১ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৮ জন, যা পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে। এর মধ্যে সাতগাঁও জীবদাড়া উচ্চ বিদ্যালয় সর্বোচ্চ ৩টি, পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ ২টি এবং সুরমা হাইস্কুল এন্ড কলেজ, পথগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও গাগলী নারায়নপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি করে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।

অপরদিকে,উপজেলার সাতটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৭৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ১৬৪ জন, যা ৬০.৬৯ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় (৬৭.৫৩%) এই হার কম। সবচেয়ে হতাশার দিক হলো এবছর দাখিলে কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি, যেখানে গত বছর একটি জিপিএ-৫ ছিল।

এ বিষয় মামদপুর গ্রামের আতাউল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা আগের মতো মনোযোগী নয়, অভিভাবকরা সচেতন না এবং অনেক শিক্ষকের পড়ানোর মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। তদারকি কম হওয়াও একটা কারণ।

অভিভাবক হাফসা বেগম বলেন, “আমার মেয়ে পাস করলেও ভালো গ্রেড পায়নি। মোবাইল আসক্তি ও পড়াশোনার অনীহা বড় সমস্যা। পাশাপাশি শিক্ষকরা যদি আরও আন্তরিক হতেন, তাহলে এমন ফলাফল হত না।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা বলেন, “পিছিয়ে থাকা একটি উপজেলার জন্য এই ফল খারাপ না। গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ বেশি। তবে উন্নতির অনেক সুযোগ আছে, আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।”

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়