টানাবর্ষণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জনজীবনে স্থবির, গাছভেঙে যাতায়াত ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি। || বিএমএফ টেলিভিশন
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকাগুলোতে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়িঢলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে সবজি ক্ষেত, বীজতলা ও পানের বরজ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি গ্রামীণ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে বিদুৎ, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ও যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকাগুলোতে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়িঢলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে সবজি ক্ষেত, বীজতলা ও পানের বরজ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি গ্রামীণ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে বিদুৎ, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ও যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনসহ এলাকায় দ্রুত পানি নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ভরাট ড্রেইন পরিষ্কার করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। পুকুর ও চিংড়ি ঘেরে পানি ডুকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ জানান, টানা বৃষ্টির কারণে এবারে আমন বীজতলা নষ্টা হয়েছে। উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখা চৌধুরী পাড়া, কুলাল পাড়া, চর পাড়া, রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না, সাদৃকাটা, জালিয়া পালং ইউনিয়নের নম্বরী পাড়া, পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনার পাড়ার রেজু মোহনা, মনখালী ছেপট খালী রাজা পালং ইউনিয়নের তুতুরবিল, পিনজিরকুল, মাছ কারিয়া, হরিণমারা হিজলিয়া ও পালং ইউনিয়নে রহমতেরবিল আঞ্জুমান পাড়া, ধামন খালীসহ নিচু এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা-মোছারখোলা সড়কে অতি বৃষ্টির কারণে গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ এবং যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটিএম কাউছার আহমদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে তালিকা তৈরি করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, কয়েকদিনের অতি বৃষ্টির কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিচু এলাকায় বসবাসরত সেড গুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ক্যাম্প ইনচার্জদের বলা হয়েছে।