উপজেলা পর্যায়ে আদালত সম্প্রসারণে একমত সব দল

ডেস্ক রিপোর্ট || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১৩, সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় বিচারব্যবস্থা পৌঁছাতে একমত হয়েছে সব দল।  

উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় বিচারব্যবস্থা পৌঁছাতে একমত হয়েছে সব দল।  

তবে ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে যেসব উপজেলা জেলা সদরের কাছাকাছি, সেখানে আদালত স্থাপনের বিপক্ষে মত দিয়েছে দলগুলো।

আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলগুলো নীতিগতভাবে একমত প্রকাশ করে।

কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য, জেলা সদর থেকে দূরত্ব ও যাতায়াতব্যবস্থা, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও বিন্যাস এবং মামলার চাপ বিবেচনা করে কোন কোন উপজেলায় স্থায়ী আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করতে হবে।

বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত পরিচালিত হয়, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সবগুলো চৌকি আদালতকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন নাকি সে ক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের সুযোগ রয়েছ, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে উপজেলা সদরে স্থাপিত কোনো আদালতের জন্য একাধিক উপজেলাকে সমন্বিত করে অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করার প্রয়োজন হলে তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, উপজেলা আদালতগুলোতে সিনিয়র সহকারী জজ ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন করতে হবে। দেওয়ানি মামলা গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে বাস্তবানুগ করাও প্রয়োজন। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জেলা সদরের অতি কাছে যেসব উপজেলা সদর রয়েছে, সেখানে অধস্তন আদালত প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে জেলা সদরে উপজেলা অধস্তন আদালতের প্রয়োজন নেই। কোন কোন উপজেলায় অধস্তন আদালত প্রয়োজন, তার সংখ্যা নিরূপণের জন্য সমীক্ষার অনুরোধ করেন তিনি।

আলোচনায় কয়েকজন নেতা উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপন করা হলে দুর্নীতি বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে বিষয়টিতে দ্বিমত করেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ। তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত হলে দুর্নীতি বাড়বে, এটা ভুল ধারণা। বিচারপ্রার্থীর হয়রানি রোধ করতে বিচারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে ৷ দুর্নীতির বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়