রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
আবুল হাশেম রাজশাহী ব্যুরোঃ || বিএমএফ টেলিভিশন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর চৌধুরী রফিকুল আবরার।
সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর এস এম এ ফায়েজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মতিয়ার রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।
সমাবর্তনে অনুষদসমূহের ডিনরা নিজ নিজ অনুষদের এবং ইনস্টিটিউটসমূহের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে উপাচার্য ইনস্টিটিউটসমূহের ডিগ্রি উপস্থাপন করেন। পরে সমাবর্তন সভাপতি ডিগ্রি অর্জনকারীদের ডিগ্রিতে ভূষিত করেন। এ সময় স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী মোট ৯ জনকে সরাসরি সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, “ডিগ্রি অর্জনকারীদের কর্মকুশলতা, আচরণ এবং চারিত্রিক গুণাবলীর মাধ্যমে এই ডিগ্রির উপযুক্ততা প্রতিপাদন করার দায়িত্ব অর্পণ করছি।”
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন সভাপতি সমাবর্তন বক্তাকে সমাবর্তন স্মারক উপহার দেন এবং উপাচার্য সমাবর্তন সভাপতিকে স্মারক উপহার প্রদান করেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ইফতিখারুল আলম মাসউদ ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মুর্শিদা ফেরদৌস বিনতে হাবিব সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য সমাবর্তন শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সমাবর্তনস্থল বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।
এ সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য মোট ৫ হাজার ৯৬৯ জন গ্রাজুয়েট নিবন্ধন করেন। এর মধ্যে কলা অনুষদের ১২টি বিষয়ের ১ হাজার ৪৯ জন, আইন অনুষদের ১টি বিষয়ের ১৫০ জন, বিজ্ঞান অনুষদের ৮টি বিষয়ের ৮০৩ জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ৫টি বিষয়ের ৭৪৯ জন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ১০টি বিষয়ের ১ হাজার ১ জন, কৃষি অনুষদের ২টি বিষয়ের ১২৫ জন, প্রকৌশল অনুষদের ৬টি বিষয়ের ৩১৪ জন, চারুকলা অনুষদের ৪টি বিষয়ের ১৬৩ জন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ৬টি বিষয়ের ৩৭৯ জন, ভূবিজ্ঞান অনুষদের ২টি বিষয়ের ১৭২ জন, ফিশারীজ অনুষদের ১টি বিষয়ের ৬৮ জন এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ১টি বিষয়ের ২ জন গ্রাজুয়েট নিবন্ধন করেন। পাশাপাশি ২টি ইনস্টিটিউটের ৫ জন গ্রাজুয়েট এবং এমফিল ডিগ্রির জন্য ১১ জন ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ৭৯ জন নিবন্ধন করেন। এছাড়া এমবিবিএস, বিডিএস, ডিভিএম ও এমডি ডিগ্রির জন্য যথাক্রমে ৭৪০ জন, ৯১ জন, ৬১ জন ও ৭ জন নিবন্ধন করেন।
ডিগ্রিভিত্তিক হিসাবে স্নাতক ও স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জনকারীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৬০ জন, স্নাতকোত্তর ৩ হাজার ৫২০ জন, এমফিল ১১ জন, পিএইচডি ৭৯ জন, এমবিবিএস ৭৪০ জন, বিডিএস ৯১ জন, ডিভিএম ৬১ জন এবং এমডি ৭ জন।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যরা, হল প্রাধ্যক্ষ, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি ও নিবন্ধিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর প্রফেসর মো. মাহবুবর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।