দৌলতপুরে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছের অপকর্মের ভিডিও ভাইরাল যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক

দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ): || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৪৬, রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় চাঁদাবাজি, নেতাকর্মীদের হয়রানি,সরকারি জায়গা দখল, অন্যের দোকান ভাঙচুর সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। ইতিমধ্যেই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান আনিছের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার অপকর্মের ভিডিও গত ১১ অক্টোবর ২০২৫ ভাইরাল হওয়ায় বিএনপি নেতা কর্মীরা সঠিক তদন্ত করে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করা হলে আনিছের  জেলা কমিটির কাছে আনিছের শাস্তি ও বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছেন।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় চাঁদাবাজি, নেতাকর্মীদের হয়রানি,সরকারি জায়গা দখল, অন্যের দোকান ভাঙচুর সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। ইতিমধ্যেই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান আনিছের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার অপকর্মের ভিডিও গত ১১ অক্টোবর ২০২৫ ভাইরাল হওয়ায় বিএনপি নেতা কর্মীরা সঠিক তদন্ত করে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপরাধ করা হলে আনিছের  জেলা কমিটির কাছে আনিছের শাস্তি ও বহিষ্কারের দাবী জানিয়েছেন।

জানাগেছে - গত ৪ অক্টোবর শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিছের নেতৃত্বে আনিছের ক্যাডার বাহিনী  বাঁচামরা ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়নাল, ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিকান্দার আলী, উপজেলা বিএনপির সহ-সাগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল, ছাত্র নেতা আহমেদ, আলামিন,হবি,মালু,গোলা ও আকবর আলী সহ ১০/১২ জন আনিছের উপস্থিতিতে উপজেলার বাঁচামরা ইউনিয়নের কল্যাণপুর স্কুলের পাশে  আবুল কাশেম কাশমীর দোকান ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট সহ পাশে খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে।এতে আবুল কাশেমের প্রায়  ৫ লক্ষ টাকার  আর্থিক ক্ষতি ও প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানান কাশমীর । 
এদিকে বাঁচামরা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়ার ১০ বিঘা জমি ৩ বিঘা জমি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান ছনকর আলী রেখে টাকা নিয়েছে। এছাড়া আনিছ বিএনপির অফিস থাকতে সে সরকারি জায়গায় সরকারি নিষেধ অমান্য করে তার ব্যক্তিগত অফিস ঘর উঠিয়ে পার্টি অফিসের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের নিকট থেকে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে চাঁদা আদায়, সরকারি জায়গা দখল করে দুতলা ভবন নির্মাণ সহ মাদক ব্যাবসার সাথে তার ভাই,ভাবী ও ভাতিজাদের দিয়ে মাদক ব্যাবসা করি এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে তিনি বিএনপি নেতা কর্মীদের হয়রানি করে দূরে সরিয়ে রাখে।এবং  বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমি দস্যুতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। চাঁদার টাকা না দিলেই আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর চালানো হয় নানা রকম নির্যাতন।

সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে -আনিছের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারামারি ও সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ সহ  বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আনিছ বাহিনী একের পর এক বেপরোয়া চাঁদাবাজি, হয়রানি, ভয়ভীতি দেখানো, সরকারি জমি দখল,চড় দখল ও মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে ভুক্তভুগী ইয়াহিয়া মোল্লা বলেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছ আমার বাপ দাদার  ৩ বিঘা জমি অন্যের কাছে ছনকর আলী রেখেছে সেই টাকা চাইতে গিয়ে ওর কাছে আমি লাঞ্ছিত হই ।সে আমাকে মানুষের সম্মুখে লাথি মারে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়া আনিছ ও আনিছের ভাই ভাবী,ভাতিজা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থেকে তিনি এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করে চলছে। এলাকায় তার নেতৃত্বে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নেয় এবং বিএনপি নেতা কর্মীদের হয়রানি করে । এছাড়া বিএনপির পার্টি অফিস থাকতে  স্কুলের ভবন ঘেষে ব্যাক্তিগত অফিস ঘর উঠিয়ে বিএনপির সাইন বোর্ড লাগিয়ে বিএনপির ভাবমূর্ত নষ্ট করেছে। এবং স্কূলের পাঠদানে ব্যাহত করছে ।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী বাচামারা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম কাশমীর বলেন - স্কুলে দেওয়া জমি আমাদের বাপ দাদার দেওয়া। আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ভাড়া নিয়ে দোকান ঘর উত্তোলন করি সেই ঘর তোলার সময় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের লোক জন আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে  ১০/১২ জন ক্যাডার বাহিনী জয়নাল , আলামিন, সিকান্দার আলী, আহম্মদ,হবি,মালু,গোলা, আকবর, এমদাদুল সহ গত ৪ অক্টোবর বিকাল ৪ টার দিকে শত শত মানুষের সম্মুখে এবং ইউপি সদস্য ময়নালের সামনে আমার ঘর ভেঙ্গে দিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ও কিছু মালামাল পাশে খালে ফেলে দেয় । এবং যাওয়ার সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে  চলে যায় ।
এবিষয়ে কল্যাণপুর স্কুলের সভাপতি এম এ রোকনুজ্জামান বলেন - স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আবুল কালাম কাশ্মীর কে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে তাকে প্রতি স্কয়ার ফিট হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয় । 
এবিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন এবং এগুলো বানোয়াট। আমার প্রতিপক্ষ মানসম্মান খুন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।আমি এসকল কিছুর সাথে জড়িত নই।
এবিষয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান উজ্জল মিয়া বলেন আনিছের নামে যে সকল অভিযোগ উঠেছে এগুলো তদন্ত করে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান দোষী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

এবিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি এআর আল মামুন বলেন এবিষয়ে ৫/৭ জনের নামে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে আমার পুলিশ ১০ অক্টোবর গেলে দোকান ভাঙচুর হয়েছে সত্যতা মিলেছে তবে চাঁদা দাবীর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এবিষয়ে আরো তদন্ত হবে ।তদন্তে যে প্রকৃত দোষী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়