পাল্টা পদক্ষেপে মার্কিন নাগরিকদের ওপর ১০ হাজার ডলার ভিসা বন্ড বাধ্যতামূলক করল মালি

আন্তর্জাতিক ডেক্স। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ১১:১৩, সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ঘোষণা করেছে যে, দেশটি ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যবসা ও পর্যটন ভিসার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার (৭ হাজার ৫০০ পাউন্ড) পর্যন্ত বন্ড বা জামানত দিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরূপ এক ভিসা নীতির প্রতিক্রিয়ায় মালি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ঘোষণা করেছে যে, দেশটি ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ব্যবসা ও পর্যটন ভিসার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার (৭ হাজার ৫০০ পাউন্ড) পর্যন্ত বন্ড বা জামানত দিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরূপ এক ভিসা নীতির প্রতিক্রিয়ায় মালি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গত শুক্রবার মালিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জানিয়েছিল, এই ফি আরোপ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় ওয়াশিংটনের অঙ্গীকারকে আরও জোরদার করার অংশ হিসেবে।

এর জবাবে মালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার জানিয়েছে, যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর একতরফাভাবে এই জামানত আরোপ করা হয়েছে, তাই মার্কিন নাগরিকদের জন্যও একই ধরনের ভিসা কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালি।

দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে, ঠিক সেই প্রেক্ষাপটেই এই নতুন ভিসা নীতির পরিবর্তন এলো। গত জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করতে মালি সফর করেছিলেন, যেখানে মালির স্বর্ণ ও লিথিয়াম খনিতে প্রবেশাধিকার পাওয়ার সম্ভাবনাও আলোচনার অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তবে, ২০২১ সালের এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর জেনারেল আসিমি গোইতা ক্ষমতায় এলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে গোইতা দেশটির ক্রমবর্ধমান জঙ্গি বিদ্রোহ দমনের প্রচেষ্টায় মালিকে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত করেন। তিনি ফরাসি সেনাদের বহিষ্কার করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়াগনার গ্রুপ থেকে ভাড়াটে বাহিনীকে দেশে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ওয়াগনার যোদ্ধাদের জায়গায় রাশিয়ার আরেক সামরিক ইউনিট 'আফ্রিকা কর্পস' মোতায়েন করা হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন দমন নীতির অংশ হিসেবে আফ্রিকার কিছু দেশকে অভিবাসী ফেরত পাঠানোর গন্তব্য হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মালি তৃতীয় দেশ থেকে অভিবাসীদের গ্রহণের মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারামোকো জ্যঁ-মারি ত্রাওরে প্রশ্ন তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের এই সিদ্ধান্ত কি 'ব্ল্যাকমেইল'?

এদিকে গত সপ্তাহে, মালির প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো নাগরিকদের গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়, কারণ ওয়াশিংটন দেশটির নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়