ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে যা জানালো মস্কো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৬, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

মস্কোর সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখার জন্য ভারতের প্রশংসা করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মার্কিন চাপ সত্ত্বেও সম্পর্ক ছিন্ন না করার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া টুডের (আরটি) এক প্রশ্নের উত্তরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণায় এমন তথ্য দিয়েছে।

মস্কোর সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখার জন্য ভারতের প্রশংসা করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মার্কিন চাপ সত্ত্বেও সম্পর্ক ছিন্ন না করার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া টুডের (আরটি) এক প্রশ্নের উত্তরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণায় এমন তথ্য দিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, “ভারত যেভাবে চাপ ও হুমকির মধ্যেও রাশিয়ার সঙ্গে বহুমুখী সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে, সেটি আমরা স্বাগত জানাই। অন্য কিছু কল্পনা করাও কঠিন,” বলে মন্তব্য করা হয়।

রাশিয়া-ভারত সম্পর্ক “স্থিতিশীল ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে,” বলে জানায় মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে তারা যোগ করে, “এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার যেকোনো চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার জন্যই নির্ধারিত।”

মন্ত্রণালয়ের মতে, পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনার পরও ভারতের অবস্থান কেবল রাশিয়া-ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রতিফলন নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের কৌশলগত স্বাধীনতার প্রতিচ্ছবিও।

রাশিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, দুই দেশের অংশীদারিত্ব “সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ মূল্য” হিসেবে বিবেচনা করে গড়ে উঠেছে। এ কারণেই এই সম্পর্ক “নির্ভরযোগ্য, পূর্বাভাসযোগ্য এবং প্রকৃত অর্থে কৌশলগত।”

রাশিয়ার মতে, ভারত ও রাশিয়া বর্তমানে বহুক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পে জড়িত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বেসামরিক ও সামরিক উৎপাদন, মহাকাশে মানব মিশন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং রাশিয়ায় তেল অনুসন্ধানে ভারতের বিনিয়োগ।

এছাড়াও দুই দেশ পেমেন্ট সিস্টেম, জাতীয় মুদ্রার ব্যবহার সম্প্রসারণ, এবং বিকল্প পরিবহন ও লজিস্টিক রুট তৈরিতে একসঙ্গে কাজ করছে। রাশিয়ার মতে, এগুলো কেবল সাময়িক প্রতিক্রিয়া নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

প্রসঙ্গত, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র অধিকাংশ ভারতীয় পণ্যের ওপর নজিরবিহীন শুল্ক আরোপ করে। এতে শুরুতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়, এরপর রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার দায়ে আরও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ জরিমানা হিসেবে চাপানো হয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেন, ভারতের রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি ইউক্রেন সংঘর্ষে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে।

ভারত এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে “অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য” বলে আখ্যায়িত করে।

এই অভিযোগ এমন সময় আসে যখন ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত রয়েছে। যদিও এই সপ্তাহে আলোচনার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়, এর আগে খবর ছিল ভারত কৃষি ও দুগ্ধ পণ্যের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ছাড় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যেগুলোকে তারা “অত্যন্ত স্পর্শকাতর লাল রেখা” হিসেবে দেখে।

সূত্র: আরটি

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়