কেন্দুয়ায় সাংবাদিককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হলেন (ইউএনও) নিজেই

কেন্দুয়ায় সাংবাদিককে বাঁচাতে গিয়ে আহত হলেন (ইউএনও) নিজেই || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৫৮, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের একটি অভিযোগ তদন্তকালীন সময় সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে ক্ষীপ্ত এলাকাবাসীর কাছ থেকে বাঁচাতে গিয়ে  আহত হয়েছেন কেন্দুয়ার ইউএনও।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের একটি অভিযোগ তদন্তকালীন সময় সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে ক্ষীপ্ত এলাকাবাসীর কাছ থেকে বাঁচাতে গিয়ে  আহত হয়েছেন কেন্দুয়ার ইউএনও।

১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৪নং গড়াডোবা ইউনিয়নের ওয়াই বাজারের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে উপস্থিত জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার তদন্তকালীন সময় শতশত জনতার সামনে সাংবাদিক মহি উদ্দিন ও হালিম মাস্টারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঐ সময় সাংবাদিক মহি উদ্দিন হালিম মাস্টারের বুকে কিলঘুষি মারলে হালিম মাস্টার আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

বিক্ষোভদ্ব জনতা সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে গণপিটুনি দেয়। সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে প্রাণে বাঁচাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার তাৎক্ষণিক এগিয়ে ফিরাইতে আসে এবং আহত হন। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসীর হাত থেকে রক্ষা করে সাংবাদিক মহি উদ্দিনকে নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত ইউনিয়নের প্রশাসক, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্য, ইউপি সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী।

ইমদাদুল হক তালুকদার বক্তব্যে বলেন-

“আজ গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের একটি বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্যার কর্তৃক তদন্ত চলাকালে এলাকাবাসীর সাথে অভিযোগকারী মহীউদ্দীন নামক এক ব্যক্তির মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। চিৎকার শুনে আমি এডিএম স্যার সহ সেখানে দৌড়ে গিয়ে উত্তেজনা প্রশমণ করার চেষ্টা করে ডান হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে আঘাত পাই ও মচকে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে”।

হালিম মাস্টার বলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আমার ইউনিয়ন আসছে জেনে আমি সেখানে গিয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে পেয়ে জিজ্ঞেস করি, ভাই আপনি ভুয়া নিউজ করেছেন শুনলাম বলতেই আমাকে বুকে কিলঘুষি মারে এবং আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এই দেখে বিক্ষোভদ্ব জনতা সাংবাদিক মহি উদ্দিনকে গণ পিটুন দিতে চেষ্টা করলে,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার তাকে প্রানেরক্ষা করে আহত হন।

সদর উপজেলার এমবিবিএস ডাক্তার মাজহারুল আমিন বলেন- কেন্দুয়ার ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার আহত হয়ে সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছেন। উনার হাতের একটি অঙ্গুল মচকে গেছে।

সাংবাদিক মহিউদ্দিন আহত বিষয় জানতে চাইলে বলেন- তিনি গুরুতর কোনো ধরনের আঘাত পান নাই, একটু কপালে ফুলা ছিল আমরা সাময়িক চিকিৎসা দিয়েছি। তিনি মাথা চিটিসস্ক্যান করতে এখন ময়মনসিংহ চলে গেছে।

সাংবাদিক রুবি বলেন- আমি এবং সাংবাদিক মহিউদ্দিন ভাই গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদ যাওয়ার আগেই আমি ভয়ে আতঙ্কে ছিলাম, জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্টেট-এর সাথে নিরাপত্তার বিষয় কথা বলেছি,তিনি আশ্বস্ত করেছে বলে গিয়েও রক্ষা হয়নি। সাংবাদিক মহিউদ্দিন গুরুতর আহত হয়েছে, আমার দুটি মোবাইল ফোন চিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এখন মহিউদ্দিন ভাইকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে আছি।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়