রামপালে বহু অপকর্মের হোতা চিহ্নিত সন্ত্রাসী র‌্যাব শহিদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আবু-হানিফ,বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৫৪, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

বাগেরহাটের রামপালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অবশেষে নানা অপকর্মের হোতা চিহ্নিত সন্ত্রাসী র‌্যাব শহিদ সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী মো. আসাদুজ্জামান শেখ বাদী হয়ে রামপাল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে সন্ত্রাসী শহিদ শেখ ওরফে র‌্যাব শহিদদের নেতৃত্বে তার সহযোগী মো. জাহিদ শেখ, আশ্বাফ শেখ অহিদ শেখ, আসাদ শেখ, জিহাদ শেখ, অছিক শেখ, মোকছুদ হাওলাদার, মাসুদ শেখ, তামিম শেখ, মুরাদ শেখ, শাহীন হাওলাদার ওরফে কাঠ শাহিন, নাসির হাওলাদার সহ ২০-২৫ জন একত্রিত হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত এ হামলা চালানো হয়। এঘটনায় তাদের সকলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
 

বাগেরহাটের রামপালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অবশেষে নানা অপকর্মের হোতা চিহ্নিত সন্ত্রাসী র‌্যাব শহিদ সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৯সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী মো. আসাদুজ্জামান শেখ বাদী হয়ে রামপাল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের সাহেব আলী শেখের ছেলে সন্ত্রাসী শহিদ শেখ ওরফে র‌্যাব শহিদদের নেতৃত্বে তার সহযোগী মো. জাহিদ শেখ, আশ্বাফ শেখ অহিদ শেখ, আসাদ শেখ, জিহাদ শেখ, অছিক শেখ, মোকছুদ হাওলাদার, মাসুদ শেখ, তামিম শেখ, মুরাদ শেখ, শাহীন হাওলাদার ওরফে কাঠ শাহিন, নাসির হাওলাদার সহ ২০-২৫ জন একত্রিত হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত এ হামলা চালানো হয়। এঘটনায় তাদের সকলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে শিবনগর কানার খাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জনকে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এদের মধ্যে রুবেল ও শাহআলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদেরকে রামপাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।


ঘটনার দিন ১৪ আগষ্ট বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শরিফুজ্জামান রুবেল (৩০), আব্দুল্লাহ শেখ (২৫), শাহআলম শেখ (৩০), শাহীন শেখ (৫৫), বাড়ীর পাশে শিবনগর সাকিনস্থ জনৈক এহিয়া’র মাছের ঘেরের বেঁড়ীভাধের উপর হামলাকারীরা পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী পলিথিনের ব্যাগে লবন-ঝালের গুড়াসহ রাম দাঁ, চাইনীজ কুড়াল, লোহার রড, হাতুড়ী, শাবল ও লাঠি-সোটা সহকারে, ঘটনাস্থলে ওৎ পেতে থাকে। তখন রুবেল, শাহীন ও শাহ্আলম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর সাথে-সাথে তাদের পথরোধ করে চতুর্দিকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর তাদের কাছে থাকা ব্যাগ হতে ঝালের গুড়া ও লবন নিয়ে আহতদের চোখে-মুখে ছুড়ে মেরে দেয়। তখন প্রতিপক্ষরা অভিনব অপ-কৌশল প্রয়োগ করার এই সুযোগে সন্ত্রাসী শহিদ খুন করার হুকুম দিলে সহযোগী সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা ধারালো দাঁ দিয়ে রুবেলকে মাথার বামপাশে, ডানপাশে ও মাথার মাঝকানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং বাম হাতের কবজির উপরে কুপিয়ে হাতের রগ ও হাড় কেটে দেয়। এমনকি আহত রুবেলের শরিরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার অবস্থা এখনও আশংকা জনক।


এছাড়া, আহত শাহআলমের বাম হাটুর জয়েন্টে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং হাটুর জয়েন্টের হাড় ও সিরা কেটে যায়। লোহার রড, হাতুড়ী ও শাবল দিয়ে শাহীন ও তার ছেলে আব্দুল্লাহর শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। অভিযোগকারী ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামান আসাদ, আব্দুল্লাহ, আজমীর (১৮) আসাবুর (৩০), রনী (২২) কেও রড ও লাঠি-সোটা দিয়ে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে আহত করে। সেই মুহুর্তে আহত আজমীর, রনী ও আসাবুরের কাছে থাকা তিনটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ : দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে ততই সন্ত্রাসী শহিদ বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এই সন্ত্রাসী শহিদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ কথা বলতে সাহস পায়না। কারন এদের ভিতরে নেই শিক্ষা ও সামাজিকতা। এলাকার মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে এই বকলমে সন্ত্রাসী শহিদ বাহিনী। এমনকি রাজনৈতিক যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের ভাড়াটিয়া লোক হয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে এই শহিদ বাহিনী। এলাকার এক শ্রেণীর কিছু অসাধু প্রভাবশালী লোকের ছত্রছায়ায় এ-সব অপকর্ম করে শহিদ পার পেয়ে যাচ্ছে বলে এলাকায় বিস্তার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই শহিদ হুটহাট করে মানুষের সাথে অকারণে কলহ-বিবাদ সৃষ্টি করে।

 নোংরা মানসিকতার অশিক্ষিত সন্ত্রাসী শহিদ তৃতীয় লিঙ্গের নারীদের গায়ে হাত তুলতেও পর্যন্ত দিধা করিনি। এর আগে এই অশিক্ষিত সন্ত্রাসী শহিদ আহত রুবেলের মাকেও মারপিট করার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার মোংলা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও দিগরাজ বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ হাকিমকে তার নিজ বাড়ি উজড়কুড় ইউনিয়নের শিবনগর গ্রাম থেকে প্রতিহিংসার কারনে এই সন্ত্রাসী র‌্যাব শহিদ ও তার বাহিনী দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অপহরণ করে। 

একপর্যায়ে তাকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে টেনেহিঁচড়ে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পরে তাকে ক্রসফায়ারের নাটক সাজিয়ে তৎকালীন দূর্নীতিবাজ অসাধু ওসি এবং র‌্যাব শহিদের নেতৃত্বে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে হাকিমকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। যদিও ওইসময় হাকিমের পরিবার হত্যার ঘটনায় আদালতে মামলা করতে গেলে তাদেরকে ভয়ভীতি দেওয়া হয়। শহিদ এলাকায় একের পর এক নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছেন।

 এছাড়াও শহিদের বিরুদ্ধে বোমা বানানো এবং অবৈধ অস্ত্র চালানোর অভিযোগও রয়েছে। এই সন্ত্রাসী শহিদ ছোট বেলা থেকেই বেপরোয়া। এছাড়াও শহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মামলাসহ একাধিক জিডি রয়েছে। নানা অপকর্মের হোতা সন্ত্রাসী শহিদ সহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী আহত রুবেল বলেন, এই শহিদের নেতৃত্বে সহযোগী সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং আরও কয়েকজনকে খুন করার পরিকল্পনা করে ছিলো।

 কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে সামান্য’র জন্য প্রাণে বেচে গেছি। আমার হাতের রগ কেটে দেয় এবং মাথা সহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই সন্ত্রাসী শহীদ, গুন্ডা ও খুনি। এলাকায় এর বিরুদ্ধে অনেক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসী শহিদ বাহিনী এলাকার হাকিম নামের একজনকে বাড়ি থেকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়