এসসিও-তে হাস্যোজ্জ্বল মোদি, থাকছেন না আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক। || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৫৩, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাস্যোজ্জ্বল ছবি ভারতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। অনেকেই মনে করেছিলেন, এটি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। কিন্তু এর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ব্রিকস-এর ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি নতুন করে জল্পনার জন্ম দিয়েছে।

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাস্যোজ্জ্বল ছবি ভারতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। অনেকেই মনে করেছিলেন, এটি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। কিন্তু এর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই ব্রিকস-এর ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি নতুন করে জল্পনার জন্ম দিয়েছে।

৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এই ভার্চুয়াল সম্মেলনে মোদির বদলে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। যদিও প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতির কোনো সরকারি কারণ জানানো হয়নি, তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছে এটি একটি কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা। বিশেষ করে যখন ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, তখন চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনার জবাবে এই অনুপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ট্রাম্প ভারত-মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি এবং রুশ তেল কেনার বিষয়ে ভারতের অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে আলোচনার জন্য ব্রিকস নেতাদের এই বৈঠক ডেকেছেন। উল্লেখ্য, ব্রাজিলও মার্কিন শুল্কের শিকার। তবে ব্রাজিল জোর দিয়ে বলেছে যে এই সম্মেলনকে কোনোভাবেই মার্কিন-বিরোধী প্ল্যাটফর্মে পরিণত করা হবে না।

অন্যদিকে, মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুতনিক ভারত ও ব্রিকসকে লক্ষ্য করে মন্তব্য করেছেন, 'ভারত এখনো তাদের বাজার খুলতে চায় না, রুশ তেল কেনা বন্ধ করতে চায় না এবং ব্রিকস-এর অংশ হওয়া বন্ধ করতে চায় না, তাই না? তারা রাশিয়া এবং চীনের মধ্যে একটি স্বরবর্ণের মতো।'

ট্রাম্প প্রশাসন বারবার ব্রিকস জোটের 'ডি-ডলারাইজেশন' নীতির সমালোচনা করে আসছে। জুলাই মাসে তিনি সতর্ক করে বলেন, যে কোনো দেশ এই ব্লকের 'মার্কিন-বিরোধী নীতির' সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করবে, তাদের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। যদিও ব্রিকস সদস্যরা স্থানীয় মুদ্রায় আন্তসীমান্ত বাণিজ্যের উপায় খুঁজছে, ভারত বারবার স্পষ্ট করে বলেছে যে 'ডি-ডলারাইজেশন' তাদের আর্থিক এজেন্ডার অংশ নয়।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়