ডিজিটাল প্লাটফর্মে মাধ্যমে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য

তপন দাস, নীলফামারী || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:০১, রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ছবি: বিএমএফ টেলিভিশন।

ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের মোটা অংকের লোন করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ১৮/০৭/২৫ খ্রি. নীলফামারী থানায় একটি মামলা হয়।  উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে, পুলিশ সুপার নীলফামারী  মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নীলফামারী  সার্কেল, নীলফামারী  এর তত্বাবধায়নে মামলাটির ব্যাপকভাবে তদন্ত শুরু হয় ।

ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের মোটা অংকের লোন করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গত ১৮/০৭/২৫ খ্রি. নীলফামারী থানায় একটি মামলা হয়।  উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে, পুলিশ সুপার নীলফামারী  মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নীলফামারী  সার্কেল, নীলফামারী  এর তত্বাবধায়নে মামলাটির ব্যাপকভাবে তদন্ত শুরু হয় ।

 উক্ত ঘটনার তদন্তে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত ও অপরাধ গোয়েন্দা তথ্য (Criminal Intelligence) যাচাই-বাছাই করে অপরাধের সাথে জড়িত একটি চক্রকে শনাক্ত করা হয়। 


এর ভিত্তিতে জনাব এ. এফ. এম. তারিক হোসেন খান, পুলিশ সুপার,নীলফামারী  এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় জনাব মোঃ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নীলফামারী  সার্কেল, নীলফামারী  এর নেতৃত্বে নীলফামারী থানা পুলিশের একটি চৌকস অভিযানিক দল আজ ১৯.০৭.২৫ খ্রি.  অত্র থানার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের অন্তর্গত ইটাপীর, কামারপাড়া,  বাবরীঝাড় ও চড়াইখোলা ইউনিয়ন এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিম, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বিকাশ হিসাব পরিচালনায় ব্যবহৃত ফোন ও নগদ একলক্ষ দশহাজার টাকা সহ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন 
(১) মোঃ রাকিবুল ইসলাম (২৫), পিতা-মৃত আফোদ্দিন, 
(২) মো: মমিন উদ্দিন(২২), পিতা- মোঃ হাসিনুর রহমান,
(৩) মোঃ ফরিদ (২৪), পিতা- মোঃ রহিদুল ইসলাম, এবং 
৪ নং আসামী মোঃ মশিয়ার রহমান (৩৫)
পিতা- মোঃ শফিয়ার রহমান


থানা পুলিশ সুত্রে   জানা যায়, অপরাধী চক্রটি  ভূয়া রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন সিম এবং ভূয়া  বিকাশ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন সিম সংগ্রহ করিয়া বিকাশ সহ অন্যান্য এমএফএস একাউন্ট অবৈধভাবে  পরিচালনা করেন। তারা সাইবার স্পেসে (ফেসবুক, ইমো, হোয়াটস‌অ্য‌াপ) নিজেদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা দাবি করে বিপুল পরিমাণ ঋণ প্রদানের বিজ্ঞাপন বুস্ট করে  সাধারণ মানুষকে বিশেষ করে প্রবাসীদের আকর্ষিত করিয়া প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশ এবং অন্যান্য এমএফএস একাউন্টে টাকা হাতিয়ে নেয় । 

এই চক্রের সাথে জড়িত ফেসবুক বুস্ট, অবৈধ সিম বিক্রেতাসহ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বিস্তৃত  তদন্ত করে প্রতারণার বিভিন্ন ধাপের সাথে জড়িত অন্যান্যদের সনাক্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়