যুক্তরাষ্ট্রের ‘নর’ইস্টার ঝড়’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা তুষারঝড়, বৃষ্টি ও বন্যা নিয়ে আসা ভয়াবহ নর’ইস্টার ঝড়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আরও বেশি ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটির ফলাফল তুলে ধরেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা তুষারঝড়, বৃষ্টি ও বন্যা নিয়ে আসা ভয়াবহ নর’ইস্টার ঝড়গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আরও বেশি ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটির ফলাফল তুলে ধরেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
নর’ইস্টার ঝড় সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে গঠিত হয়। এগুলো মূলত সৃষ্টি হয় উত্তরের ঠান্ডা আর্কটিক বাতাস ও আটলান্টিক মহাসাগরের উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাসের মধ্যকার তাপমাত্রার পার্থক্য থেকে। এসব ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, ওয়াশিংটনসহ ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
গবেষকরা ১৯৪০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়কালের ৯০০টিরও বেশি নর’ইস্টার ঝড় বিশ্লেষণ করেছেন। এতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি বিশেষ সাইক্লোন ট্র্যাকিং অ্যালগরিদম। গবেষণায় দেখা গেছে, সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর গড় সর্বোচ্চ বাতাসের গতি ১৯৪০ সালের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। এই বাড়তি গতি ঝড়ের ধ্বংসক্ষমতা প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী এবং গবেষণার সহলেখক ড. মাইকেল মান বলেন, এটা বিশাল এক পরিবর্তন। ঝড়ের গতি বাড়ার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের মাত্রাও প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, ২০১০ সালের ‘স্নোম্যাগেডন’ ঝড়ের সময় তিনি ফিলাডেলফিয়ার একটি হোটেলে টানা তিন দিন আটকে ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাই তাকে এই গবেষণার দিকে ধাবিত করে।
তবে গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ভবিষ্যতে নর’ইস্টার ঝড়ের সংখ্যা কমে যেতে পারে। কারণ, আর্কটিক অঞ্চলের উষ্ণতা বাড়ায় ঠান্ডা ও উষ্ণ বাতাসের পার্থক্য কমে আসছে, যা এই ঝড়গুলোর অন্যতম জন্মদাতা উপাদান ছিল। যদিও সংখ্যায় কমে যাবে, কিন্তু যেসব ঝড় তৈরি হবে, সেগুলো হবে আরও বেশি তীব্র, শক্তিশালী ও বিধ্বংসী।