ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হাফ ভাড়ার জেরে বাস হেল্পারের মারধর
মো. মিনহাজুর রহমান মাহিম, ইবি প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
কুষ্টিয়ার চৌড়হাস এলাকায় স্টুডেন্ট ভাড়া দিতে চাওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক নারী শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-খুলনা রুটের কয়েকটি বাস এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আটকে রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
কুষ্টিয়ার চৌড়হাস এলাকায় স্টুডেন্ট ভাড়া দিতে চাওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক নারী শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া-খুলনা রুটের কয়েকটি বাস এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আটকে রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।
মারধরের শিকার রাফসান আরা ঝুমা, যিনি লোকপ্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, জানান, “আমি যখন অন্য একটি বাসে উঠতে যাচ্ছিলাম, তখন এক হেলপার বলেন, ‘এই বাসে উঠেন, ওই বাসে সিট নাই।’ আমি বলি আমি স্টুডেন্ট, ২৫ টাকা ভাড়া দিব। তখন সে বলতে থাকে, ‘তুমি কোথাকার শিক্ষিত, অশিক্ষিতের মতো নাটক শুরু করছো?’”
তিনি বলেন, “আমি এর প্রতিবাদ করলে সে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আমি মোবাইলে আমার স্বামীকে কল করতে গেলে সে ফোন কেড়ে নিয়ে আমার মুখে একের পর এক ঘুষি মারে। প্রায় চারবার মারে। আমি বাস থেকে নামতে চাইলে কেউ বাধা দেয়নি, বরং সে আমার পরিবার নিয়েও গালাগাল করেছে। পরে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।”
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা বলেন, “একজন নারী শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারার সাহস তারা কিভাবে পায়? অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভাড়া নিয়ে নিয়মিত হয়রানি চলছে—এবার স্থায়ী সমাধান চাই।”
তারা আরও বলেন, “বাস মালিকপক্ষকে লিখিতভাবে নিশ্চয়তা দিতে হবে, এমন ঘটনা আর সহ্য করা হবে না। উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, “বাস মালিক সমিতিকে ডাকা হয়েছে, তারা আসছেন। আমাদের শিক্ষার্থী যেহেতু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তার ন্যায়বিচার অবশ্যই হবে। না হলে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন চলবে।”