ইসলামের জন্য যদি কারও অনুভূতি থাকে সেটা তো বিএনপির: রিজভী

অনলাইন ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০৯, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দুই-একটি ইসলামী দলকে অঙ্গীকার ভঙ্গকারী উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আরে ইসলামের জন্য যদি কারও অনুভূতি থাকে, সেটা তো বিএনপির। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযোজিত কে করেছেন? সংবিধানের মধ্যে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন কে করেছিলেন? তিনি জিয়াউর রহমান। এখন ইসলামের নাম নিয়ে খালি সুযোগ সন্ধানী কাজ করবেন, এটা কিন্তু জনগণ মেনে নেবে না। মানুষকে আপনি সন্তুষ্ট করতে পারবেন না।’

দুই-একটি ইসলামী দলকে অঙ্গীকার ভঙ্গকারী উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আরে ইসলামের জন্য যদি কারও অনুভূতি থাকে, সেটা তো বিএনপির। সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযোজিত কে করেছেন? সংবিধানের মধ্যে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সংযোজন কে করেছিলেন? তিনি জিয়াউর রহমান। এখন ইসলামের নাম নিয়ে খালি সুযোগ সন্ধানী কাজ করবেন, এটা কিন্তু জনগণ মেনে নেবে না। মানুষকে আপনি সন্তুষ্ট করতে পারবেন না।’

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কুড়িগ্রামে বিএনপির এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, ‘আজকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, কুৎসা রটানো হচ্ছে। কেন রটানো হচ্ছে। এটা হচ্ছে তারেক রহমানের প্রতি এক ধরনের হিংসাবোধ থেকে। বছর দুই-এক হলো, উনি একটি সংগঠন তৈরি করলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। শেখ হাসিনার সেই ভয়ংকর দুঃশাসনের কারণে যাদের হাত নেই, পা নেই নেই, দৃষ্টিশক্তি নেই, যারা পৃথিবী থেকে চলে গেছেন; সে সব পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি এই সংগঠন তৈরি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি জানাতে চেয়েছেন বিএনপি কী ধরনের রাজনীতি করতে চায়, বিএনপির অভীষ্ট লক্ষ্য কী? এটা তিনি জনগণের কাছে ফুটিয়ে তুলেছেন।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা পাহাড় ডিঙিয়ে খাল পেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন রোগীকে দেখে আসতে পারি তার নির্দেশে। যার এত মানবপ্রেম, মানবের জন্য যার এমন অনুভূতি; আজ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, যারা কণ্ঠের স্বাধীনতা উদ্ধার করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন; হাত, পা, চোখ হারিয়েছেন; যাদের শরীরে এখনো অত্যাচারের দাগ রয়ে গেছে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যার এত মানবিক অনুভূতি। তাকে আপনারা চিহ্নিত করছেন নানাভাবে।’  

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এই দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি এই দেশের একজন স্বাধীনতার ঘোষক। আপনারা দুই একটি ইসলামী দল, আপনারা কবে থেকে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন? জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় আপনারা সুযোগ পেয়েছেন। এখন তার জেষ্ঠ্যপুত্রকে আপনারা টার্গেট করছেন। বুক-পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় রাজনীতি করেছেন। জিয়াউর রহমান মারা গেলো, এরশাদ বন্দুকের নল নিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করলো। সেই এরশাদের অধীনে কেউ যাবে না বললো, আপনারা চলে গেলেন। কার সাথে গেলেন? শেখ হাসিনার সাথে। সব সময় সুবিধা খুঁজে বেড়ান। সব সময় ধান্দা খুঁজে বেড়ান। কিন্তু খালেদা জিয়া যাননি। তিনি বলেছেন, জনগণের কাছে আমি যে ওয়াদা করেছি, সেখান থেকে সরবো না। ইসলামের নামে রাজনীতি করেন। ইসলামের মূল কথাটাই তো হচ্ছে তুমি অঙ্গীকার ভঙ্গ করো না। অথচ প্রতি পদে পদে আপনারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা ছাত্রদের দিয়ে বিভিন্ন লেখালেখি করছেন। ইউটিউব ব্যবহার করে, বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েট করে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে, অনেক আজেবাজে আপনারা ছড়াচ্ছেন। আমরা কিন্তু জানি এটা আপনারাই করছেন। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের বলে দিয়েছি, খবরদার কোনো উসকানিতে আপনারা পা দেবেন না।’

তিনি বলেন, ‘মিটফোর্ডের সামনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার। বিএনপির নামে দুই একজন দুষ্কৃতিকারী ঢুকতেই পারে। যে পরিবারের বাবা-মা ভালো, তাদের সব সন্তানও ভালো, কিন্তু একজন একটু দুষ্টু, একজন মাদকসেবী। অনেক পরিবার দেখেছি, মাদকসেবী ছেলেকে নিজেরাই জেলখানায় পাঠিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড করেছে, তাদের কি বিএনপি কোনোভাবে আসকারা দিয়েছে? সাথে সাথে যুবদল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কার নির্দেশে? তারেক রহমানের নির্দেশে।’  

রিজভী বলেন, ‘যে নেতা সারা বাংলাদেশে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, কোনো ধরনের দখলবাজি, সন্ত্রাসীকার্যক্রম- যেখানেই দেখছেন সাথে সাথে শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থাই নয়, তিনি তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে মামলা নেওয়ার জন্য বলছেন। শুধু তাই নয়, প্রশাসন যখন শুনছে না, তখন আমরা নিজেরাই মামলা করছি। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো- তারেক রহমানের এটি হলো বক্তব্য।  

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পাঁচ থেকে ছয় হাজার আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। আজকে তারেক রহমান সাহেবের নামে বিভিন্ন কমপ্লেন করছেন, মিছিল করছেন। এটার উদ্দেশ্য তো ভালো নয়। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ওই পরাজিত আওয়ামী দোসরদের সঙ্গে আপনারা সংযোগ রক্ষা করছেন। আজকে দেশের মানুষ শান্তি চাই, স্বস্তি চাই। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন চাই না। আবার সেই দুঃশসান চাই না, টাকা পাচার চাই না। রাস্তার মধ্যে পুলিশের গুলিতে অনেক মুগ্ধ, আবু সাঈদদের মতো দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে দেখতে চাই না। কিন্তু আপনাদের বিভিন্ন গোপন কার্যক্রম তো সন্দেহ তৈরি করছে।’

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়