‘ইসরায়েল বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, তাই ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য-সম্প্রীতি অনিবার্য’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৪৫, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির সঙ্গে এক বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ককে তেহরান সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। তিনি ১২ দিনব্যাপী ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধকালে পাকিস্তানের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির সঙ্গে এক বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ককে তেহরান সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। তিনি ১২ দিনব্যাপী ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধকালে পাকিস্তানের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো। 

বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইসরায়েল মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। তাই ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি এখন অনিবার্য।’

তিনি ইরান-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে কূটনৈতিক আদান-প্রদান ও গঠনমূলক সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যা পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে জানান।

মাসউদ পেজেশকিয়ান আরও বলেন, ‘পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। যুদ্ধকালীন পাকিস্তানের পাশে থাকা আমাদের কখনো ভুলে যাওয়ার নয়।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে ‘বিজয়ের জন্য’ অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘তেহরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান পার্লামেন্টই প্রথম দেশ হিসেবে এ যুদ্ধের নিন্দায় প্রস্তাব পাস করেছে এবং ইরানের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানিয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে ১২ দিনব্যাপী সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এতে অন্তত ৬০৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়।

জবাবে ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যাতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত ও ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয় বলে জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যে জানা গেছে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে তার পরমাণু কর্মসূচি ‘ধ্বংস’ করার দাবি করে। অবশেষে ২৪ জুন একটি মার্কিন-মধ্যস্থ যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

এদিকে পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ঘোষণা করেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে তাদের সহযোগিতা ‘নতুন রূপে’ চালু হবে। ইরান জানায়, ‘সহযোগিতা বন্ধ হয়নি, তবে একটি নতুন ধারা অনুসরণ করবে।’

ইরান অভিযোগ করেছে, তার পরমাণু স্থাপনায় হামলার পেছনে আংশিকভাবে আইএইএর ভূমিকা রয়েছে। যদিও তেহরান একাধিকবার দাবি করেছে, তারা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না।

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়