ইকসু বিশুদ্ধ পানি ও নারী স্বাস্থ্যসুরক্ষা-ইবিতে ১০ দফা দাবি জানাল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন

প্রকাশিতঃ সকাল ০৭:১৫, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি : প্রতিনিধি

ছবি : প্রতিনিধি

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ইকসু আইন প্রণয়নসহ শিক্ষার্থীদের সার্বিক দিক বিবেচনায় মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা ও নৈতিক পরিবেশ রক্ষায় একটি সুন্দর শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ইবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে উপাচার্য‌ অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ‌র কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম।  

সংগঠনটির ১০ দফা দাবি সমূহ— এক. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনতিবিলম্বে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা ব্যতীত অন্যান্য অযৌক্তিক সকল কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা। দুই. অতিদ্রুত কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক সংস্কার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সরকারের সাথে যোগাযোগ করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। তিন. বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদেরদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রতিটি আবাসিক হল ও প্রতিটি বিভাগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নামাজ আদায়ের‌ সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা। চার. করোনা মহামারী, শিক্ষকদের পেনশন সংক্রান্ত কর্মবিরতি ও জুলাই আন্দোলনে কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট নিরসনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। পাঁচ. ভর্তি ফি কমিয়ে শিক্ষার্থদের  সামর্থ্যের ভিতরে আনা।

‎ছয়. গণতান্ত্রিক চর্চা ও নেতৃত্ব বিকাশে ইকসু আইন প্রণয়ন ও দ্রুততম সকল আইনি জটিলতা কাটিয়ে এর রোডম্যাপ ঘোষণা করা। সাত. বিভিন্ন অনুষদ ও ভবনে বিশুদ্ধ পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থায় প্রতিটি ভবনে আধুনিক ও কার্যকর পানির ফিল্টার স্থাপন করতে হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হ‌ওয়া টিউবওয়েল গুলো পুনরায় সচল করা। আট. বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে সনদপত্র, নম্বরপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলনে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা বন্ধ এবং একাডেমিক শাখায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব তদারকি করতে মনিটরিং সেল তৈরিতে করা। নয়. নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হল সমূহে ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করে হাইজিন সামগ্রী (স্যানিটারি ন্যাপকিন, টিস্যু) ও ‎ওষুধ (ব্যথানাশক, প্রাথমিক চিকিৎসার পণ্য) সরবরাহ নিশ্চিত করা। দশ. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে মানসম্মত ওষুধের ঘাটতি ও দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের আধুনিকীকরণ নিশ্চিত ও দায়িত্বরতদের মনিটরিং সেল তৈরি করা।

‎ইবির ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, ‎’এই ১০ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা ও নৈতিক পরিবেশ রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত এসব বিষয়ে দায়িত্বশীল ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের দাবি আদায়ে বাধ্য হবে।’

উপাচার্য ‎অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘স্মারকলিপির দাবিগুলো শিক্ষার্থীবান্ধব, আমরা দাবিগুলোর ব্যাপারে একমত। তবে ইকসু গঠনের ব্যাপারে কিছু আইনি জটিলতা আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ইকসুর ব্যাপারটা অন্তর্ভুক্ত নেই। বেশ কয়েকটি দাবির বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসন ইতোমধ্যেই কাজ করছে, বাকিগুলোও বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Share This Article

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়