কে এই লিটন? অত্যাচার থেকে বাঁচাতে চায় টবগী বাসী
নিজস্ব সংবাদদাতা : ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানা || বিএমএফ টেলিভিশন
টবগী ৩ নং ওয়ার্ডের লিটন এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ টবগী ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ । দীর্ঘ কয়েক বছর ঢাকায় আত্মগোপনে থেকে ৫ ই আগষ্ট
টবগী ৩ নং ওয়ার্ডের লিটন এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ টবগী ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ । দীর্ঘ কয়েক বছর ঢাকায় আত্মগোপনে থেকে ৫ ই আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর এলাকায় গিয়ে বিএনপি'র নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে আসছে তার অত্যাচারে অতিষ্ট টবগী বাসী ।
প্রথমেই টবগী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তালা মেরে সমস্ত ত্রাণের ভিজিএফ, ভিজিডি, জেলে কার্ড,রেশন ,কার্ড , টিসিবি কার্ড সহ প্রাণের মালামাল আত্মসাৎ করে ব্যাপকভাবে অনিয়ম করে আসছে । এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে নানান রকম ঝামেলা করে ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করে ।
পরবর্তীতে টবগী রাস্তার মাথা শরীফিয়া দাখিল মাদ্রাসা দখল করে তার ব্যক্তিগত অফিস করার চেষ্টা করে , বোরহানউদ্দিন থানা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে শরীফিয়া দাখিল মাদ্রাসা সন্ত্রাসী লিটনের দখল থেকে মুক্তি পায় ।
রাস্তার মাতা বাজারের নামে বরাদ্দকৃত টিউবওয়েল তার বসবাস কৃত ঘরের সামনে নিয়ে যায় । রাস্তার মাতা বাজারে সাধারণ দোকান মালিক আব্দুর রহিম নাগর মিয়ার ১২ টি দোকান ঘর তালা মেরে বন্ধ করে রাখে । এবং নিরীহ নাগর মিয়ার নামে পরপর দুটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে । তার হাত থেকে রক্ষা পায় নাই সাধারণ ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ী , রাস্তার মাথা বাজার ঝাল মুড়ি ব্যবসায়ী মোঃ সোলেমান (ছলার) কাছ থেকে পেশি শক্তি খাটিয়ে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে জোরপূর্বক মালামাল নিয়ে টাকা পরিশোধ করতে এবং টাকা চাইতে গেলে তাদেরকে মামলার হুমকি দেয়।
স্থানীয় আমিনুদ্দিন হাওলাদার বাড়ির প্রবাসী কামরুলের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে আত্মসাৎ করে এবং ফারুক হাওলাদারের মেয়ের কাছ থেকে জমি দিবে বলে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে কিন্তু তাকে জমিতে দেয়তো নাই বরং টাকা চাইতে গেলে নানা রকম হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে।
স্থানীয় নছিমন চালক আবুল্লা হাবুর কাজ থেকে দের লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে তার অত্যাচারে ষাট হাজার টাকা পরিশোধ করার পরও বাকি টাকার জন্য বিভিন্ন রকম মিথ্যা মামলা জড়ানোর হুমকি ধামকি দেয়। এরকম অসংখ্য চাঁদাবাজি , দখল এবং লুটতরাজের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে যোগাযোগ করে জানা যায় তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দল থেকে ১০ /১২ বছর আগে তাকে দলীয় সাধারণ সদস্য সহ সকল পদ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিজ বাড়ি শরীক গণ ইতিমধ্যে বাড়ির শরীক দের নামে মিথ্যা এবং বানোয়াট মূলক ২৬ টি মামলা দায়ের করে । এবং বাড়ির শরিকদের গরভিটা সহ জমির জমা পুকুর পুসকুনি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে । তার এই আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তার বাড়ির শরিক গণ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। এবং লিটনের পুত্র আফরানের নেতৃত্বে একটি কিশোর জ্ঞান তৈরি করে উক্ত কিশোর গেং যেকোনো সময়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার করে আসছে ইতিপূর্বে তার অত্যাচারের অধিষ্ট হয়ে তারই পরিবারের লোকজন সাংবাদিক সম্মেলন করছে বলে জানা যায় ।
এমতাবস্থায় তার বাড়ির শরিকগণ এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ তার নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানায় ।