পঞ্চগড়ে দুটি সীমান্তে আরও ১৭ নারী-পুরুষকে বিএসএফের পুশ ইন
পঞ্চগড় প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
সীমান্তে কোনভাবেই থামছে পুশইন। দেশের অন্যান্য সীমান্তের মতো পঞ্চগড়ের সীমান্ত দিয়ে ক্রমাগতভাবে রাতের আধারে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে মানুষদের। আবারও উত্তরের এ জেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে ১৭ নারী-পুরুষকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার ভোরে জেলার সদরের হাড়িভাসা ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া এবং তেতুঁলিয়া উপজেলার ভজনপুর সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়।
সীমান্তে কোনভাবেই থামছে পুশইন। দেশের অন্যান্য সীমান্তের মতো পঞ্চগড়ের সীমান্ত দিয়ে ক্রমাগতভাবে রাতের আধারে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে মানুষদের। আবারও উত্তরের এ জেলার দুটি সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে ১৭ নারী-পুরুষকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার ভোরে জেলার সদরের হাড়িভাসা ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া এবং তেতুঁলিয়া উপজেলার ভজনপুর সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়।
এদের মধ্যে পুশইন হওয়া নাগরিকদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। তারা বরিশাল, সিলেট, নওগা, যশোর, বরিশাল, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, গোপালগঞ্জ ও নরসিংদী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫৫-এর ২নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে ১০ জন ও তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর সীমান্তের পিলার ৭৩৯/২০-আর এলাকা দিয়ে ৭ জনকে পুশইন করলে স্থানীয়রা তাদেরকে ঘুরাফেরা করতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। পরে বিজিবি তাদেরকে আটক করে দুটি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এসব আটককৃতরা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তাদের উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্নস্থান থেকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। আটকের পর বিমানযোগে শিলিগুঁড়ি নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলে বিএসএফ সদস্যরা পরে তাদের সীমান্তে এনে বাংলাদেশে পুশ ইন করে।
সদর উপজেলার সীমান্তে আটককৃতরা হলেন, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার জয়দেবপুর উত্তর দেওলি গ্রামের শের আলীর ছেলে ইয়াসিন আলী (৩৫), নিসন্দপুর ঘাসখালির অলিউর হোসেনের মেয়ে নুরবানু খাতুন (৩৫),নওগার আতরাই উপজেলার আহসানগঞ্জ খড়েরবাড়ির আবু বক্করের মেয়ে জেমি খাতুন (২৩), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার বড়চাপা পাইকান এলাকার বাচ্চু মিঞার মেয়ে শিখা আক্তার (৩৬), সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার শিবনগর গ্রামের তসিমুল হকের মেয়ে জেরিন বেগম (২৩), যশোর বেনাপোলের উত্তর কাগজপুকুর গ্রামের আমির সরদারের মেয়ে শাহাররুন খাতুন (৪০),বরিশালের হারতা উপজেলার দক্ষিণ হারতা গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে হাফসা আক্তার (২০), কক্সবাজারের বন্দরপাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে রোমানা আক্তার (২০), গোপালগঞ্জের কোটালি পাড়া উপজেলার কোনাবাড়ির নওয়াব আলী শেখের মেয়ে ময়না খাতুন (২২) ও খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার কাবথোলি উত্তর হাচিনপুর এলাকার আলী নেওয়াজের মেয়ে আছিয়া আক্তার (২৩)।
অপরদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত থেকে আটককৃতরা সবাই পুরুষ। তারা হলেন ফরিদপুরের শালতা উপজেলার ফুলবাড়িয়া খরের কান্দি গ্রামের শাহাজাহান মোল্লার ছেলে জুনাইদ হোসেন (৩০), নগরকান্দি উপজেলার কাজলিয়া দেলবাড়িয়া এলাকার সোলেমান মিঞার ছেলে শাহীন মিঞা(৪৫), নগরকান্দা উপজেলার পোড়াদিয়া মদ্যকিচাহল এলাকার আয়ুব মিঞার চেলে নয়ন মিঞা (৩৮), ভাবদা উপজেলার আলগী শুকনি এলাকার হারুন সর্দারের ছেলে সাইফুল সর্দার (৩৪),নগরকান্দি উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের আ: লতিফের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪৬), সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রহিমা মাদরাসা বাটিবারাপাইত এলাকার ফোয়াজ উদ্দীনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(৩০) ও হবিগঞ্জের আজমীর গঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের আ: হাইয়ের ছেলে ফয়সাল আলিম (২৬) ।
নীলফামারীর ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর কাজী আসিফ আহমদ ও পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম বলেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে এসব নাগরিকদের বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বিএসএফ। আমরা তাদের আটক করে জিডি মূলে থানায় হস্তান্তর করেছি।
পঞ্চগড় সদর এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে বিজিবি আটককৃতরে পুলিশের কাছে সোপর্দ্য করেছে। তাদেরকে নিরাপদে শেল্টার হোমে রাখা হবে। আতœীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে।