থমথমে গোপালগঞ্জ: ১৪৪ ধারা জারি, ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন; সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে উদ্ধার হলেন এনসিপি নেতারা
স্টাফ রিপোর্টার ইমরান মাতুব্বর। || বিএমএফ টেলিভিশন
সংঘর্ষকবলিত গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরো জেলাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে শহরে ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষকবলিত গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরো জেলাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে শহরে ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে, প্রায় চার ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তার পর জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের এক নজিরবিহীন অভিযানে উদ্ধার করা হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় এই উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়, যেখানে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এসপি অফিসের ভেতর থেকে এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সেনাবাহিনীর একটি সুরক্ষিত সাঁজোয়া যানে উঠছেন। যানটি তাদের নিয়ে তীব্র উত্তেজনার কেন্দ্রস্থল থেকে বেরিয়ে যায়।
সূত্রমতে, সাঁজোয়া যানটি নেতাদের শহরের বাইরে একটি অজ্ঞাত নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তারা নিজেদের গাড়িবহরে উঠে মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। এই পুরো প্রক্রিয়াটি যৌথবাহিনীর কঠোর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়।
এর আগে, দুপুর ৩টার দিকে সমাবেশ শেষে ফেরার পথে এনসিপি’র গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে প্রাণভয়ে দলটির নেতারা এসপি অফিসে আশ্রয় নিলে সেখানে এক দীর্ঘ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও দৃশ্যত শান্ত রয়েছে। জেলা প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে এবং পুরো পরিস্থিতি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।