ইবিতে জিয়াউর রহমানের ছবি ও তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
মো. মিনহাজুর রহমান মাহিম, ইবি প্রতিনিধি || বিএমএফ টেলিভিশন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জিয়া অনুগত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জিয়া পরিষদ, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এবং শাখা ছাত্রদল।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জিয়া অনুগত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জিয়া পরিষদ, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এবং শাখা ছাত্রদল।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন। এর মধ্যে ছিল—"বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান", "জিয়ার সৈনিক এক হও, লড়াই করো", "রাজাকার আর স্বৈরাচার একাকার", "একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার" প্রভৃতি।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদসহ বিএনপিপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
সমাবেশে ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “যারা দেশনায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে অশ্রাব্য কথা বলছে, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্তরসূরি। পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী এই গোষ্ঠীর মুখোশ উন্মোচন করা হবে।”
অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে অবস্থান করেন। তাদের অবমাননা করে কেউ পার পাবে না।”
জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, “একটি ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, কেউ শহীদ জিয়াউর রহমানের ছবির ওপর লাথি মারছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বক্তারা অবিলম্বে অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।