এক মাসে মাইন বিষ্ফোরণে ৯জন আহত, নো ম্যান্সল্যান্ডে বাঁশ কাটতে গিয়ে যুবকের পা বিছিন্ন
উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: || বিএমএফ টেলিভিশন
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণের মো. হোসেন (৩৩) নামে যুবকের পা বিছিন্ন হয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণের মো. হোসেন (৩৩) নামে যুবকের পা বিছিন্ন হয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ (রবিবার ১৩ জুলাই) দুপুরে ঘুমধুমের নিকুছড়ি সীমান্তে ৪১ ও ৪২ নং পিলারে মাঝামাঝি নোম্যান্স ল্যান্ডে এই বিষ্ফোরণ ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
আহত মো. হোসেন (৩৩), সে কক্সবাজার জেলার উখিয়া এলাকার বাসিন্দা বাঁচা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মত জীবন সংগ্রাম ত্যাগীদের সীমান্তের বাঁশ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। সীমান্তে ৪১ ও ৪২ পিলারে মাঝামাঝি নো ম্যান্স ল্যান্ডে বাঁশ কাটতে গিয়ে আরাকান আর্মি পুঁতেরাখা স্থলমাইনে বাম পা পড়ে যায়। পরে স্থলমাইন বিস্ফোরিত হলে হোসেনের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আহতের মামা জসিম উদ্দিন জানান, বাঁশ কাটতে গিয়েই আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটে। সেসময় হোসেনের বাঁ পা উড়ে যায়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত উদ্ধার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রশাসন সূত্র বলছে, গত এক মাসে বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় মাদক, ও চোরাকারবারিসহ অন্তত ৯ জনের পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল ও সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি করার দাবি সীমান্তের বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, স্থল মাইন বিষ্ফোরণে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।